প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২১ ১২:৪৭ অপরাহ্ন
বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে অপসারণের ঘটনায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রুত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সিকদার মাহবুব বলেন, "শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সমর্থনে যদি শিক্ষকদের তাদের কর্মজীবন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়, তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের দেশ, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, আমাদের নীতিনির্ধারকদের অবস্থা! তাই আমরা অনুরোধ করছি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের কাছে অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ তুলে নিবেন। সেই সাথে শিক্ষকদের প্রত্যাহার তুলে নিয়ে স্ব-স্ব অবস্থানে ফিরিয়ে আনবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে যে অবিচার অন্যায় হয়েছে তার জন্যে ক্ষমা চাইবেন। নতুবা সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ফেটে উঠবে।"
আন্তর্জাতিক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন,"খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার মেয়াদের শেষ সময়ে যে আচরণ করেছেন তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণের মতোই। যেখানে উপাচার্য শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছেন যা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের মতো আচরণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের যে পাঁচ দফা আন্দোলন তা শিক্ষার মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর মৌলিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্য বহিষ্কারের যে সংস্কৃতি তা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অশনিসংকেত। আশা করি তিনি শেষ সময়ে দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার ও তিন শিক্ষক বরখাস্ত প্রত্যাহার করবেন।"
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে। এ সময় শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারন দেখিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আন্দোলনের সাথে সংহতি জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অপসারণ এবং একজন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে দুই শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন।