ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩২, ১৯ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে চাপা ক্ষোভ, কেন্দ্র থেকে আস্থা হারাচ্ছে নেতা-কর্মীরা


প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী, ২০২১ ১৩:০৬ অপরাহ্ন


ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে চাপা ক্ষোভ, কেন্দ্র থেকে আস্থা হারাচ্ছে নেতা-কর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ছাত্র সংগঠনে প্রায় ২৭ বছর পর ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ষষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সরাসরি ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। 

কেন্দ্রীয় কাউন্সিল গঠনের ৩ মাস পর একই বছর ২১ ডিসেম্বর ৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। যাতে বাদ দেয়া হয় বিএনপির দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা পালনকারী অনেক ত্যাগী নেতা কর্মী।

কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে  অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। দুই বছর পার হয়ে গেলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। যা নিয়ে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

বিএনপি সরকার হটানোর যে আন্দোলন করতে চাই তা শুধু মুখে বললেই হবে না। আন্দোলনকে সংগঠিত করতে হলে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব। গঠন করতে হবে সকল পর্যায়ের কাউন্সিল।

গত ফেব্রুয়ারীতে কেন্দ্রীয় সংসদের সুপার ফাইভ এর সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বঞ্চিতদের সাথে এক মিটিংয়ে সুপারফাইভ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে আরেকটা আংশিক কমিটি প্রদানের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। পরে বিভিন্ন প্রকার  টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মহামারী করোনার আগে কমিটি প্রদান করা হয় নাই। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পরে দফায় দফায় প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি বঞ্চিতদের কে কমিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তা যেন বারবার ঠেকিয়ে দিচ্ছে কোন অদৃশ্য শক্তি। যা কেন্দ্রের থেকে নেতাকর্মীদের আস্থা উঠে যাওয়ার উপক্রম।

সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ১ লা জানুয়ারীর আগে কমিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। বর্তমান কমিটির মেয়াদ ১৬ মাস পার হওয়ার পরও কেন্দ্রীয় সংসদের আংশিক কমিটি বর্ধিত বা পূর্ণাঙ্গ করা হয় নাই।

সকল আন্দোলনের শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখার কমিটি দিতে যদি এত কালক্ষেপণ হয় কি ভাবে এগোতে পারে একটা সংগঠন এ নিয়ে প্রশ্ন অনেক পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের। অনেক নেতাকর্মীরাই আবার বলছে কেউ যদি একবার কোনো পদে বসেন তাহলে কোন ভাবেই ছাড়তে চায় না পদ।

দীর্ঘ ২৭ বছর পর যখন ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। কাউন্সিল গঠনের একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিলো সারা দেশে, তৈরি হয়েছিল ছাত্রদলের কর্মচাঞ্চল্য কিন্তু তা আর ধরে রাখতে পারে সংগঠনটি। কমিটি গঠনের পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনেক সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছিল এই সংগঠনটির কিন্তু বর্তমানে মৃত প্রায়।

একটা সংগঠনের চালিকাশক্তি কমিটি গঠন যা সংগঠনের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত একটা পরিবর্তন ও নতুন কর্মচাঞ্চল্য আসে। যা কর্মসূচী বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাবি শাখার ৯১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। যেখানে অনেকে বঞ্চিত হয়। বঞ্চিতদের প্রতিবাদের মুখে মাত্র সপ্তাহখানেকের মধ্যে আরো ৩২ জনকে বাড়িয়ে ১২৩ করা হয়। আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস।


   আরও সংবাদ