ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

খুবি'র ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের


প্রকাশ: ২১ জানুয়ারী, ২০২১ ২১:০০ অপরাহ্ন


খুবি'র ২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি বশেমুরবিপ্রবি ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের

বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি ও উক্ত বহিষ্কারের ঘটনাকে প্রতিহিংসামূলক ঘটনা বলে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন,বশেমুরবিপ্রবি সংসদ।

বৃহস্পতিবার (২১জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বশেমুরবিপ্রবি সংসদের বার্তা প্রেরক সুবর্ণা রায় প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, “বেতন-ফি কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনে জড়িত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের ঘটনাকে প্রতিহিংসা এবং দুরভিসন্ধিমূলক বলে মনে করছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

 আরও বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করার সময় দুই শিক্ষক সেই পথে গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাদের অন্য পথে যেতে অনুরোধ করেন। শিক্ষকদের একজন তখন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ছবি তুলে নেয় এবং ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দেয়। শিক্ষার্থীর যৌক্তিক দাবি না মেনে উল্টো ঘটনার এক বছর পর একাডেমিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে আন্দোলনে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি রথীন্দ্র নাথ বাপ্পী এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মিলন এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, “শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া না মেনে বানোয়াট অভিযোগে উল্টো তাদেরকে বহিষ্কার করার মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে হুমকি প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, নিপীড়নসহ একাধিক অভিযোগ থাকার পরও রাষ্ট্র যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি এই দুঃসাহস দেখানোর শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছেন।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, পাঠ্য বই এবং ক্লাসরুমে আবদ্ধ না থেকে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শামিল হওয়াও একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের দায়িত্ব। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সমর্থন জানানো শিক্ষকদের বরখাস্ত করার পাঁয়তারা এই মুহূর্তে বন্ধ না করলে, তার চড়া মূল্য দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা পর্যালোচনা করলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, উপাচার্যগণ যৌক্তিক আন্দোলন দমন করবার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুগত দাস তৈরি করবার কারখানা করে রাখবার প্রত্যয় নিয়েই উপাচার্যের আসনে আসীন হন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন মনে করে, যত হামলা-মামলা-হুমকিই আসুক না কেন, বিরাজনীতিকরণের এই চক্রান্তের শিকল ছিঁড়ে শিক্ষার্থীরা যুথবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে আরো শক্তিশালী করবে।


   আরও সংবাদ