ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

জবির সীরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নাজিফুর রহমান


প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী, ২০২১ ১৪:৪৫ অপরাহ্ন


জবির সীরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নাজিফুর রহমান

জবি প্রতিনিধি : পবিত্র মাহে রবিউল আওয়াল উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আয়োজিত অনলাইন প্লাটফর্মে সীরাত পাঠ প্রতিযোগিতার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ইসলাম শিক্ষা বিভাগের নাজিফুর রহমান চৌধুরী।

আজ শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত উক্ত সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার ফলাফল ফেসবুকে অফিশিয়াল পেইজ "সীরাত পাঠক ফোরাম, জবি" তে প্রকাশ করা  হয়।

এছাড়াও সেরা দশে স্থান করে নেন ক্রমানুসারে আশরাফুল আলম, বোরহান উদ্দিন, মাহদী তাহমীদ, ফয়জুর রহমান, হোসনে আরা, বেলাল হোসেন, আব্দুর রহমান, কে এম ইমাম এবং সোহান প্রামাণিক। 

সীরাত পাঠ প্রতিযোগিতায় প্রথন স্থান অর্জনকারী পাবেন ২৫ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী পাবেন ২০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট, তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবেন ১৫ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট, চতুর্থ স্থান অর্জনকারী পাবেন ১০ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট, পঞ্চম স্থান অর্জনকারী পাবেন ৫ হাজার টাকা ও ক্রেস্ট। এছাড়াও পরবর্তী ৪৫ জনকে ৫০০ টাকা সমমূল্যের বই প্রদান করা হবে।

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাজিফুর রাহমান চৌধুরী বলেন, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান রবের কাছে যিনি আমার প্রচেষ্টা ও যোগ্যতাকে ভালো কোনো প্রতিযোগিতায় প্রকাশ করিয়েছেন। আমি সবসময় বিশ্বাস করি, ভাগ্য পরিশ্রমীদের পাশে থাকে। কেননা মহান রব পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন, মানুষ তাই পায়, যা সে করে (সূরা নাজম-৩৯)। 

জবি পাঠক ফোরামকে অসংখ্য ধন্যবাদ।করোনার পরিস্থিতিতে যুবকরা যেখানে হেলাফেলায় সময় কাটাচ্ছে, সেখানে তাদের আয়োজন আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। আমি প্রত্যাশা করি, এই ফোরাম ভবিষ্যতেও মেধাবীদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে।

সেরা দশে জায়গা করে নেয়া ইসলাম শিক্ষা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সোহান প্রামানিক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান রবের কাছে যিনি হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে আমাকে সেরা দশে আসার তৌফিক দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি জবি পাঠক ফোরামকে, শত প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে এতো সুন্দর একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করায়।কিছু অনূভূতি প্রকাশ করা যায়না। 

আমি ব্যক্তিগতভাবে এই মহামারিতে পড়াশোনার বাহিরে ছিলাম।কিছুটা হতাশা ও কিছুটা আক্ষেপ নিয়ে আমার দিন কাটতো। তন্মধ্যে কাকতালীয় ভাবে সিরাত প্রতিযোগিতার খবর আমি জানতে পারি। প্রথম দিকে উদাসীন ছিলাম। ভাবছি পরিক্ষা দিবোনা। কিন্তু বরাবরই আমার প্রতিযোগিতা ভালো লাগে। 

প্রতিদিন সকালে উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে আসতাম এবং সন্ধা পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে যেতাম। চেষ্টায় আমার কোন কার্পণ্য ছিলোনা, ছিলো সাহস ও উদ্দীপনা। আমি আশা রাখবো ভবিষ্যতেও এমন প্রতিযোগিতার ধারা অব্যহত থাকবে।


   আরও সংবাদ