প্রকাশ: ৩ জানুয়ারী, ২০২১ ২০:৫০ অপরাহ্ন
গবি থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন: ২০২০ এর সারাটা বছর জুড়ে মহামারিতে স্থবির হয়েছিলো পুরো বিশ্ব। আবারও এই মহামারিকে সঙ্গী করেই আসছে নতুন এক বছর। নতুন বছরকে ঘিরে ছোট-বড় সকলেরই কিছুকিছু চাওয়া-পাওয়া থাকে, থাকে কিছু স্বপ্ন আর প্রত্যেকেরই ইচ্ছা থাকে প্রাপ্তির খাতার সে স্বপ্নগুলোকে পূর্ণতা দেবার।
পুরো বিশ্ববাসীর নতুন এ বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হবে এই মহামারি থেকে মুক্তি পাওয়া। নতুন বছরের নতুন শুভ্রতাই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির জীবনে "মুক্ত বাতাসে" বেঁচে থাকুক একবিংশ শতাব্দীর সব তাজাপ্রাণ গুলো!
মহিবুল ইসলাম (সোহান)
গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিষাদের অধ্যায় ছাপিয়ে আলোক আসুক ইথার ভেদ করে। বেদনা বিধুর পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে উদয় হোক নতুন সূর্যের, সে আলোয় আলোকিত হোক বিশ্বময়।
নতুন বছরে পূরাতন গ্লানি আর অপূর্ণতাকে মুছে নতুন উদ্দ্যমে সামনে এগিয়ে চলার শক্তি এবং সাহস যোগাতে হবে। ২১ যদি হয় বিজোড় এবং আনকমন একটা সংখ্যা তাহলে ২০২১ থেকে হোক আমাদের বিজয়ের সূচনা। নির্মল এক পৃথিবীর প্রত্যাশা। ভালো কাজের অঙ্গীকারে, সৎ এবং সুন্দরের পথে যেন থাকি অবিরত সেই আশায় বুক পেতে আছি।
পরিশেষে, নতুন বছর আসুক অপরিচিত আনন্দ আমেজ নিয়ে মুক্ত আবহাওয়ায় ধরণী সবিস্তার চির সবুজে মুখরিত হোক।
সৈকত ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২১ সাল শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, সমগ্র পৃথিবীর জন্যই একটি আশার প্রতীক হিসেবে কাজ করবে। মহামারীতে অনেককেই হারিয়েছি, হারিয়েছি অনেক গুনী ব্যক্তিদেরকেও। আমাদের নিকটে ২০২০ এসেছিলো একটি ভয়ংকর স্বপ্নের রুপ নিয়ে।
২০২১ সালকে নিয়ে বাকি সবার মতো আমিও ভীষণ আশাবাদী। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখন সব কিছুর উর্ধ্বে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে ভ্যাক্সিন অত্যন্ত জরুরী। তাই আশা করছি ২০২১ সালে এটি আমাদের দেশে আসবে এবং আমরা আবারও স্বাভাবিক জীবনধারায় ফেরত যেতে পারবো।
এ ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে পুনরায় শুরু করতে পারবে। দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে সেটিও পুষিয়ে নিয়ে উন্নয়নের ধারায় অগ্রগতির আশাও করছি।
২০২১ সালে মানুষ নিজেদের মধ্যকার হিংসা-বিদ্বেষ ত্যাগ করে পরষ্পরের প্রতি সহনশীল ও শ্রদ্ধাশীল হবে সেই আশা ব্যক্ত করছি।
উম্মে আম্মারা রিতু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০২০ এক আকস্মিক বিপর্যয় আমাদের সবার কাছেই, বিশেষ করে তরুন সমাজের কাছে। শিক্ষা, অর্থনীতি, বাণিজ্য সবদিকেই পিছিয়ে গিয়েছিলাম একটা বছর। বাংলাদেশের মতো দরিদ্র একটা দেশে করোনা প্যান্ডামিক একটা বিরাট বাঁধা। আমরা তবুও টিকে আছি। এটাই সবথেকে বড় সাফল্য।
সামনেই ২০২১, একটা নতুন বছরের সাথে সাথে নতুন দশকের সূচনা হতে যাচ্ছে। বদলে যাবে অনেক কিছুই।আমাদের তরুন সমাজের উচিত নিজেদের আরো দৃঢ় করে গড়ে তোলা যেন সামনের যেকোন বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি, ভবিষ্যত চিন্তায় একদম ডুবে না গিয়ে বর্তমান টাকেই কাজে লাগাতে পারি। ২০২১ হোক মুক্ত, প্রতিটা মানুষের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনুক সুসংবাদ।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি তে বাংলাদেশ আরো উন্নত হোক। এই প্রত্যয় হোক আমাদের তরুণ সমাজের।
লায়লা আর্জুমান তৃপ্তি
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া।