ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

গোপালগঞ্জের চাঞ্চল্যকর হামিদুল মেম্বার হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার


প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:৫৪ অপরাহ্ন


গোপালগঞ্জের চাঞ্চল্যকর হামিদুল মেম্বার হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার

স্টাপ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার হামিদুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। আধুনিক তদন্ত কলাকৌশল ব্যবহার করে সিআইডি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল (গোপালগঞ্জ ল-১১-১৪৮১) এর মালিক ও চালক আমির মোল্লাকে সনাক্ত করতে সমর্থ হয়।

আমির মোল্লাকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকান্ডের মূল আসামী রবিউল শরীফ (৫৭) কে গ্রেফতারের জন্য সিআইডি যশোর ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। এক পর্যায়ে সিআইডি গতকাল রাত ১১.০০ টায় ঢাকার পাটুয়াটলী হতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার সহ অন্যান্য আলামত উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ, কারিগরি তথ্য, রুপসা ব্রীজে টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ এবং মনিরের (যশোর) পেট্রোল পাম্প এর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মূল আসামী রবি শরীফ (৫৭) গত ১১/১২/২০২০ (শুক্রবার) তার পূর্ব পরিচিত যশোরবাসী চশমার দোকানের মালিক আমির মোল্লাকে মোটরসাইকেল যোগে যশোর হতে গোপালগঞ্জ পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তার কথা মত আমির মোল্লা তার মোটর সাইকেল নিয়ে যশোর সদর হাসপাতালের অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় রবি শরীফ সেখান থেকে যশোরের মনিরুদ্দিন পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে যায়। সেখানে তারা  (সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আছে)। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে কালনাঘাটের একটি চায়ের দোকানে চা পান করে গোপালপুর বাজারে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেয়।

হামিদুল হক মেম্বারকে অত্যন্ত কাছ থেকে  ০৪ (চার) টি গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে ভিকটিম হামিদুল হক মেম্বার রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। ঘটনার পর ভ্যান চালক সাগর ভিকটিম  কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হত্যার পর আসামী রবি শরীফ অপেক্ষারত মোটর সাইকেল চালক আমির মোল্লা কে দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে অনুরোধ করে। এ সময় আমির তাকে বলে যে, “ভাই, আপনি লোকটিকে মেরে ফেললেন”? উত্তরে রবি শরীফ বলে যে, “সে আমার অনেক ক্ষতি করেছে”, “তাড়াতাড়ি চল, না হয় ধরা খাবি”।

ঘটনার আকস্মিকতায় আমিরুল এলোমেলো হয়ে পড়লেও মূল আসামী তাকে পুলিশের ভয় দেখায় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যশোর পৌঁছে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। যশোর যাওয়ার পথে রুপসা ব্রীজের টোল প্লাজার সিসি ক্যামেরায় তাদের অবস্থানের বিষয়টি আনুমানিক রাত্র ০৮.০০ ধরা পড়ে। সেখান থেকে যশোরের দড়াটোনা মোড়ে এসে রবি শরীফ (৫৭) নেমে পরে এবং সেখানে একটি রুটি কিনে মূল আসামী রবি শরীফ আবার মোটর সাইকেল যোগে যশোরের গোপ পাড়া রোডে চলে আসে। রাত আনুমানিক ০৯.৩০ ঘটিকার সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পুনরায় চালু করে। এরপর আমিরকে শাসিয়ে নিজ বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলে। সিআইডি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষতার সাথে এই হত্যা কান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন সহ আসামীদের গ্রেফতারে সমর্থ হয়। এ বিষয়ে গত ১৪/১২/২০২০ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৩, তারিখ-১৪/১২


   আরও সংবাদ