প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:২৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান বলেন, এদেশের প্রতিটি গৃহহীন পরিবার যাতে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। প্রত্যেক ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমি প্রদান পূর্বক সেখানে দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ খরচ প্রায় এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমান অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সারাদেশে ১৭ হাজার পাঁচ টি ঘর তৈরি করে দিচ্ছে।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমানের সাথে আজ সচিবলয়ের সভাকক্ষে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্য হলেন- টিকা'র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ইসমাইল গুন্ডোগদু।
সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদলকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং যেকোনো দুর্যোগে তুরস্ককে পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রায় নয় লাখ গৃহহীন পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে যাদেরকে সরকার দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দিবে পর্যাক্রমে। তুরস্কের রাষ্ট্রদূত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সাফল্যের প্রশংসা করেন। এ দেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রদূত প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন । বিশেষ করে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরীর ক্ষেত্রে তারা সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করেন।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রীফি়ংকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা করবে তুরস্ক সরকার । তুরস্কের সরকার টিকা'র মাধ্যমে এ অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করবে।
উপস্থিত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কত সংখ্যক গৃহনির্মাণে তারা আর্থিক সহায়তা দিবে কিংবা এ প্রকল্পে কি পরিমাণ অর্থ তুরস্ক সরকার সহায়তা দিবে তা পরবর্তীতে বাংলাদেশকে জানাবে।
অন্য একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তুরস্ক ছাড়াও আরো অনেক দেশ এ প্রকল্পে সহায়তায় অর্থায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।