ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

বশেমুরবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠান "৪৯ এ আমরা"


প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:৩৯ অপরাহ্ন


বশেমুরবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠান

বশেমুরবিপ্রবি থেকে খাদিজা জাহান: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা অনুষ্ঠান  "৪৯ এ আমরা"।

১৬ ডিসেম্বর রাত ৮ টায় বশেমুরবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের কোয়ালিটি কন্ট্রোলার সজল আহমেদের উপস্থাপনায় আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ১১ নং সেক্টরের সম্মুখ যোদ্ধা ও বাংলা একাডেমির পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হারুন হাবীব।

এসময় তিনি বলেন, "মৃত্যু বড় নয়, বরং মৃত্যুকে জয় করে ত্যাগ-তিতিক্ষা, কর্ম সেটাই বড়। আমাদের প্রজন্ম কিছু কিছু অর্জন করেছে। যেমন এদেশের বাঙালির মুক্তির জন্যে যুদ্ধে, স্বাধীনতার যুদ্ধ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

আমি গেরিলা যুদ্ধ করতাম। পাশাপাশি যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ও জয়বাংলা পত্রিকায় ১১ নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করি। যুদ্ধ করার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন রণাঙ্গনের, যুদ্ধের, রিফিউজিদের জন্য লিখেছি। আমাদের প্রজন্মের মানুষেরা সবাই না হলেও অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের মতো একটা ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র এক সপ্তাহের মতো ট্রেনিং নিয়ে,একটা রাইফেল নিয়ে, একটা গ্রেনেড নিয়ে, একটা স্টেনগান নিয়ে। এই যে বীরত্ব দেখিয়েছে তা নতুন প্রজন্মদের স্মরণ রাখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, ইতিহাসের উপর নির্ভর করে দেশ এগিয়ে চলবে কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেভাবে দেশ চলছে না। স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই উল্টো পথে যাত্রা করছে দেশ। মুক্তিযুদ্ধকে বসানো হয়েছে একটি সাধারণ গৃহযুদ্ধের মতোই। ফলে মুক্তিযুদ্ধ অবিকৃত আদলে তরুণদের সামনে উপস্থাপিত হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।আমরা রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে গেলেও সামাজিক ন্যায়বিচার পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। যেমন- কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা হয়। সংবিধান মতে দেশের যে কেউ তার মত প্রকাশ করতে পারে। তবে সেই মত, দৃষ্টিভঙ্গি, আস্ফালন যদি সংবিধান,বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যায় তারা নাগরিক হওয়ার যোগ্য নয়।

জয়বাংলাকে আত্মা থেকে ধারণ করতে না পারলে  ভাস্কর্য ভাঙ্গার মতো অনেক কিছুই দেশে ঘটে যাবে। তাই আমি মনে করি সর্বত্র মুক্তিযুদ্ধের চর্চা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা হওয়া উচিত।


   আরও সংবাদ