A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120

Filename: mysqli/mysqli_driver.php

Line Number: 201

Backtrace:

File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct

File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once

বিজয় দিবসে গণবি শিক্ষার্থীদের যত ভাবনা
ঢাকা, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯, ৩ রমজান ১৪৪৪

বিজয় দিবসে গণবি শিক্ষার্থীদের যত ভাবনা


প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:৫১ অপরাহ্ন


বিজয় দিবসে গণবি শিক্ষার্থীদের যত ভাবনা

গণবি থেকে স্পন্দন : ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। করোনার প্রকোপে বিজয় দিবসেও ঘরবন্দী শিক্ষার্থীরা। পূর্ণ উদ্যমে দেশের বিজয় রক্ষা করতে অঙ্গীরকারবদ্ধ এই তরুণদের প্রতিবারের মতো বিজয় উদযাপন করা হচ্ছে না এবার। বিজয় দিবস নিয়ে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীদের ভাবনা তুলে ধরেছেন বরাতুজ্জামান স্পন্দন।

নাম: নিশাত তাসনিম,
বিভাগ: প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান

বিজয় অনেক ত্যাগের মিশ্রণে গ্রন্থিত ছোট্ট একটি শব্দ। বিজয় সে তো গৌরবের, সে তো আনন্দের। বিজয় মানেই তো জিতে যাওয়ার স্বাদ। আত্মত্যাগের গল্প। কিন্তু যারা তাঁদের আপনদের নিয়ে না ভেবে আমাদের এই বিজয় ছিনিয়ে এনে দিয়েছেন, বিজয়ের ৫০তম বছরেও কি তাঁদের আমরা ভালোবাসতে পেরেছি, প্রাপ্য সম্মান টুকু দিতে পেরেছি? না আমরা পারিনি। আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আছেন, যাদের জীবনযুদ্ধ এখনো থেমে নেই। একটু বেঁচে থাকার জন্য, জীবনযাপনের জন্য, খাওয়ার খরচ অথবা চিকিৎসা সেবার জন্য তারা এখনো অক্লান্ত পরিশ্রম এবং মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এই বিজয়ে আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াতে পারি, সম্মান অথবা শ্রদ্ধাবোধ না জানাতে পারি, তবে আর কবে পারবো? ঠিক যেমন করে ’৭১-এ তারা তাদের এ দেশমাতাকে ভালোবেসে বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের সর্বস্ব। চলুন না, এবার আমরা তাদের ভালোবাসাটুকু তাদের কাছে ফিরিয়ে দেই। তাদের পাশে দাঁড়াই।’

নামঃ রাজু আহমেদ
বিভাগ: ফিজিওথেরাপি

"বিজয় দিবস মানে বাঙ্গালী জাতির অনুপ্রেরণা, বিজয় দিবস মানে বাঙ্গালী জাতির ধৈর্য্য ও মনোবলের শিক্ষা।"
১৯৭১ সালে বাংলার আপামর জনতা দেশ প্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে ধৈর্য্য ও মনোবলের সাথে যেভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা এবং আমাদের বাঙ্গালী জাতির জন্য অনুপ্রেরণা এবং ধৈর্য্য ও মনোবলের বড় শিক্ষা। আমাদের উচিত বিজয় দিবসের অনুপ্রেরণাকে ধারণ করে ধৈর্য্য ও মনোবলের সাথে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া। যেহেতু করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে আমরা প্রতিবারের মতো করে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারছি না, তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিজয়ের আনন্দে ভাল কিছু করা।

নাম: আবদুল্লাহ আল মামুন
বিভাগ: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য

বিগত বছরের থেকে এবছর ১৬ ডিসেম্বরটা একটু ভিন্ন ঘরানার হতে যাচ্ছে। কেননা বিগত বছরগুলোতে আমরা সকাল বেলা ক্যাম্পাস থেকে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করতে চলে যেতাম। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এবার আর সেই সুযোগটা হয়ে উঠবে না। ১৬ ডিসেম্বর মানেই তো বিজয়! তাই বিজয়ের উন্মাদনায় মেতে উঠে সবাইকে দেশের কল্যানে কাজ করার অঙ্গীকার নিতে হবে এই দিনে।

আগেই বলেছি, এবারকার বিজয় দিবসটা অনান্য বছরগুলোর তুলনায় একদম ভিন্ন। তো সেইদিক থেকে তাকালে এবার কিন্তু বিজয়ের মাসে আমাদের বিজয়ের পাল্লাটা একটু ভারী বলেই মনে হচ্ছে। এই মাসেই কিন্তু আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটা বসানো হয়েছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক এবং বিজয়ের অংশ। এভাবেই যুগে যুগে বিজয়ী হোক বাঙালি, বিজয়ী হোক বাংলাদেশ।

মুনিয়া আজম মায়শা
ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমাল সাইন্সেস

বিজয় তো গৌরব ও আনন্দের সংমিশ্রণ। সে জিতে যাওয়ার এক অনন্য স্বাদ। আত্মত্যাগের গল্প। আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, বিজয়ের এই ৫০তম বছরেও কিন্তু আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ভালবাসা দিতে পারিনি। সেই চিরঞ্জীব বীর সেনানীদের সম্মানে আমাদের উচিত তাদের অর্জিত এই বিজয়কে কলুষিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা। যার যার অবস্থান থেকে সচেষ্ট থাকা। ঠিক যেমন করে ’৭১-এ তারা তাদের এ দেশমাতাকে ভালোবেসে সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন তাদের যার যার অবস্থান থেকে। চলুন এবার আমরা তাদের ভালোবাসাটুকু তাদের কাছে ফিরিয়ে দেই।

বিজয় দিবস আসলে একটি জাতির মুক্তির স্মারক। একটি জাতির নতুন জন্ম। একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। অবশ্যই এই দিবসকে সেই জাতির অন্তরে লালন করতে হবে। আর তার চেতনা আরও গভীর হতে গভীরতর করবার দায় আমাদেরই। যার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ শহীদ। আমরা যেন তাদের রক্তের ত্যাগকে কখনো না ভুলে যাই।


   আরও সংবাদ