প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘টেকটিক্যাল বেল্ট’ নিয়ে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলবে বাংলাদেশ পুলিশ।
নতুন এই অপারেশন গিয়ার চালু করায় পুলিশ সদস্যদের আগের মতো কাঁধে বা হাতে করে অস্ত্র বহন করতে হবে না। হাত ফাঁকা থাকায় জনগণের যেকোনও প্রয়োজনে দুই হাত ব্যবহার করেই সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যেতে পারবেন পুলিশ সদস্যরা।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার ‘টেকটিক্যাল বেল্ট’ সংযোজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার ‘টেকটিক্যাল বেল্ট’ উদ্বোধন করেন আইজিপি। ট্যাকটিক্যাল বেল্টের মূল স্লোগান হলো ‘হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং’ মানে হাত খালি রাখা। এতে পুলিশের কাজে গতি আসবে, মনোবলও বাড়বে। একই সঙ্গে পুলিশকে দেখতেও আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী লাগবে।
ছয় চেম্বারের আধুনিক এই ট্যাকটিক্যাল বেল্টেই থাকবে পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, অতিরিক্ত ম্যাগাজিন, এক্সপেন্ডেবেল ব্যাটন, পানির পট, টর্চ লাইট ও ওয়্যারলেস। এতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হাত থাকবে সম্পূর্ণ খালি।
এ বিষয়ে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘উন্নত বিশ্বে রুটিন ডিউটিতে পুলিশ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে না। এখন থেকে আমরাও সেই বিষয়টি প্রচলন করতে চাই। প্রথমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে এটি ব্যবহার করবো। এরপর ধাপে ধাপে সবক্ষেত্রে এটির প্রচলন করা হবে।
আশা করছি আগামী এক মাসের মধ্যে ডিএমপি ও সিএমপি তাদের সদস্যদের নতুন ধারার সঙ্গে যুক্ত করতে পারবে। এর ফলে পুলিশ সদস্যরা কোনও ধরনের অস্বস্তি ছাড়াই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না ঢাকার রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ এক হাতে ওয়্যারলেস ধরে থাকুক, এক হাত অকুপাইড হয়ে থাকুক। নতুন গিয়ার সংযোজনের ফলে ওয়্যারলেস চলে যাবে বেল্টে। কাঁধে সংযোজিত মাইক্রোফোনের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা ওয়্যারলেস ব্যবহার করতে পারবেন।
একজন পুলিশ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে যেসব সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়, তার সবই এই অপারেশন গিয়ারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ট্যাকটিক্যাল বেল্টের সঙ্গে থাই হোলস্টার যুক্ত করে সেখানে স্মল আর্মস রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বেল্টের সঙ্গে এক্সপ্যান্ডেবল ব্যাটন, টর্চলাইট, হ্যান্ড কাফ ও পানির বোতল রাখার সুযোগ রয়েছে।
জরুরি মুহূর্তে দ্রুত মেসেজ আদানপ্রদান নিশ্চিত করতে ওয়্যারলেস সেটের সঙ্গে একটি মাইক্রোফোন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে করে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যরা সেট মুখের কাছে না এনেই মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন।