ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন


প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৪:১১ অপরাহ্ন


স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাবিপ্রবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

হাবিপ্রবি থেকে আবু সাহেব: স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে।

সোমাবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কালোব্যাচ ধারন শেষে শহীদ মিনার বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। অসুস্থতাজনিত কারণে অনুষ্ঠানের পুরো সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে বাণী প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মু আবুল কাসেম। তিনি তাঁর বাণীতে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীগণ তাঁদের মেধা ও মনন দিয়ে এক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের অপামর জনসাধারনসহ বুদ্ধিজীবীরাও মহান স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করেছিলেন। যা পাকিস্থানি ও তাদের এদেশীয় দোসররা মোটেই ভালভাবে গ্রহণ করেনি। ফলে, পরাজয়ের প্রতিহিংসা আগাম চরিতার্থ করতেই তারা বেছে নিয়েছিল ওই নৃশংস হত্যাকান্ড। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পরাজয়ের আগমুহুর্তে পরিকল্পিতভাবে বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের। তারা চেয়েছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

তিনি তাঁর বাণীতে আরও বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিকল্পিত আপরাধ। ঠান্ডা মাথায ঘটানো নিধনযজ্ঞ। আজকের এই দিনে আমি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই কারণ তাঁর সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক বাঁধা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাসহ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচার সুষ্ঠুভাবে করে চলেছেন এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করছি সকল বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় অভিযুক্তদের বিচার সম্পন্ন করে এবং বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে কলঙ্কমুক্ত হবো।

 


   আরও সংবাদ