প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অবমাননার প্রতিবাদে আজ (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এ.টি.এম. মইনুল হোসেন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সিকদার, প্রফেসর পুরঞ্জয় বিশ্বাস, নাছির উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ দিল্লুর রহমান, ওবায়দুল করিম, মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, আদনান হোসেন।
বক্তারা মুজিব শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননার তীব্র নিন্দা জানান এবং দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন করোনাকে চ্যালেঞ্জ করে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন দৃঢ়ভাবে, করোনায় বিধ্বস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে তিনি যখন দৃঢ়হস্ত ঠিক সেই সময়ে এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতির জন্য মর্যাদাহানিকর উল্লেখ করে বক্তারা এধরনের ঘৃণিত কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ড. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার বলেন, ভাস্কর্য হচ্ছে একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ। মুসলিম দেশগুলোতেও এধরনের ভাস্কর্য বিদ্যমান। কিন্তু বাংলাদেশের এক শ্রেণির উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ভাস্কর্যের অবমাননা করছে যা দেশের মূল চেতনা ও মূল্যবোধের উপর চরম আঘাত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা প্রকান্তরে সংবিধানের অবমাননারই শামিল। জাতির পিতার প্রতিকৃতি প্রদর্শন ও সংরক্ষণ সাংবিধানিক বিধিবন্ধ একটি বিষয়। তাই বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যের অবমাননা মানে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রান্ত করা।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর এ.টি.এম. মইনুল হোসেন বলেন, এধরনের ঘৃনিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে তিনি এধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে তাদেরকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাংলাদেশের অগ্রগতির ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো