প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ২০:০৩ অপরাহ্ন
আবদুল হামিদ : সরকারের পক্ষ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং জনগণের সচেতন করা হচ্ছে। তার পরেও বেহাল অবস্থা রেল যাতায়াতে। ইতোমধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে মসজিদ-মন্দির সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মাক্স ব্যতীত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের থাবাই দিশেহারা সব খাত। আর প্রতিটি দেশের জন্য রেল গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। যদিও বাংলাদেশে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে আরো বেশ কিছুদিন আগে। সারা দেশের সাথে রেল যোগাযোগ এখন স্বাভাবিক।
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য কাউন্টারের ভিতরে মাক্স ব্যতীত কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বসানো হয়েছে ২/৩ ধাপের চেকিং ব্যবস্থা।
তার পরেও সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন এবং মাক্স ছাড়া কাউন্টারে ঢুকতে না দেয়ার ঘোষণা ও চেক করতে দেখা গেলেও। স্টেশনে ঢুকে রেলওয়ে ওঠার পরে আর বাস্তবায়ন নেই কোনটাই।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) থেকে মাক্স ছাড়া চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সহ সারাদেশে মাক্সের না পরলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ইতোমধ্যে সকল সরকারি দপ্তর সহ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গুলো "নো মাক্স নো এনট্রি" স্লোগান নিয়ে এর বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আবার অনেক সরকারি দপ্তরে মাক্স পড়ুন সেবা নিন স্লোগান সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দিয়েছে।
রেল ভ্রমণে স্টেশনে ঢুকতে কড়াকড়ি থাকলেও রেলওয়ে ওঠার পরে আর তার কোনো কার্যকারিতা না থাকায় হতাশ অনেক যাত্রী। অনেকেই দেখাচ্ছে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
অনেক যাত্রীকে দেখা গেছে সিট খালি থাকা সত্বেও দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছে। কারণ পাশের যাত্রীর মাক্স নেই।
এক যাত্রীর নাম প্রকাশ করার শর্তে বলেন, গেটে মার্ক্সের জন্য এতো পীড়াপীড়ি করে কি লাভ। ট্রেনের ভিতর তো অধিকাংশ যাত্রীয় মাক্স ব্যতীত ভ্রমণ করছে। অনেকক্ষণ ধরে এভাবে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু পাশের যাত্রী মাক্স পরছে না। আর আমি অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি।
আবার অনেককে দেখা গেছে টিটি, আনসার ও পুলিশ সদস্যরা আসলে তাদের দেখে তাড়াতাড়ি মাক্স বের করে মুখে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের চলে যাওয়ার সাথে সাথে আবার খুলে পকেটেভরে রাখছে। মাক্স পড়া নিয়ে এ যেন এক চোর-পুলিশ খেলা।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার শ্রী ন্রীপেন্দ শাহ বলেন, আমরা করোনার শুরু থেকেই যেভাবে মাক্স ছাড়া স্টেশনের মধ্যে বা যাতায়াতের পথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলাম এখনো আমরা সেটা অব্যাহত রেখেছি।
তাছাড়া ইস্টিশনে বিভিন্ন সচেতনমূলক পোষ্ট আর সহ বারবার মাইকিংয়ের সচেতন করা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের সাথে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। সাধারণ যাত্রীরা নিজে থেকে সচেতন না হলে কত সময় তাদের কেয়ারিং করা যায়।
গেট দিয়ে ভিতর প্রবেশের সময় দেখা গেছে আনসার সদস্যরা কোন যাত্রীসাধারণ কে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। অনেকের মাক্স না থাকায় তাকে ফেরত দেয়া হচ্ছে। মাক্স কিনে মুখে দেওয়ার পরে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।