প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২০ ১৭:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত শুরুতেই মহান আল্লাহর উপর পরম শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেছেন, পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার অবদানে আমরা পেয়েছি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ। এছাড়াও, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জন্ম নেয়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনী স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে যে এয়ার শো এর আয়োজন করতে যাচ্ছে তার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে নতুন ভাবে পরিচিতি লাভ করবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিএএফ ফ্যালকন হলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২২ সালে ‘বাংলাদেশ এয়ার শো -২২২২’ নামের একটি আন্তর্জাতিক এয়ার শো'এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ওয়েব পৃষ্ঠা চালু হচ্ছে।
এয়ার শো আয়োজন একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পর্যটন শিল্পের প্রসার, নতুন কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচনসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পথকে বেগবান করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এই লক্ষ্য কে সামনে রেখে বিশ্বের দীর্ঘতম ও নিরবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারকে এই আয়োজনের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের সার্বিক প্রবৃদ্ধির ধারা কে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা উন্নয়নের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সুচিন্তিত দিকনির্দেশনায় এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সার্বিক তত্বাবধানে ‘বাংলাদেশ এয়ার শো-২০২২’এর আয়োজন হবে।
প্রধান অতিথি হিসাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌছালে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) শফিকুল আলম তাকে স্বাগত জানান।
উল্লেখ্য যে, এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এই এয়ার শো আয়োজনের প্রাথমিক তথ্য-সম্বলিত বিন ঢ়ধমব বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করা হয়েছে।
এই এয়ার শো এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এভিয়েশন শিল্পের অমিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোক্ত হবে এবং সারাবিশ্বের কাছে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের পরিচিতিসহ প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে পূর্ব-পশ্চিমের সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে প্রত্যাশা করা হবে। সর্বোপরি সার্বিকভাবে বাংলাদেশের উন্নতির চিত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়সহ বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে এই এয়ার শো সুস্পষ্ট প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিমান সদরের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসারগণ, চেয়ারম্যান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের প্রতিনিধি, আমন্ত্রিত অতিথিগণসহ প্রিণ্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।