ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশ: ১২ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:৩১ অপরাহ্ন


দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা:  এনামুর রহমান বলেন,  ভৌগলিক অবস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে জনবহুল বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত।

দুর্যোগের নিয়মিত ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ষাটের দশক পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ধারণা ছিল মূলত ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মানেই ছিল দুর্যোগ পরবর্তী পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ত্রাণ ভিত্তিক কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে এসে সরকার দুর্যোগ সহনীয় জাতি গঠনে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ বা বন্ধ করা সম্ভব নয় । কিন্তু দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও প্রশমন করে তা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারলে  জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব ।

প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত "ভয়াল ১২ নভেম্বর: উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষায় টেকসই বেড়িবাঁধ"শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, '৭০-এর ঘূর্ণিঝড়ে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের উদাসীনতা এবং যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় প্রায় ১০ লক্ষ লোকের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া '৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে তৎকালীন সরকার যথাযথ পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষতি হয়।

পক্ষান্তরে এ সরকারের আমলে সংঘটিত তিনটি ঘূর্ণিঝড় ফণী, বুলবুল ও আম্পানে যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। তিনি বলেন,ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪ হাজার সাইক্লোন শেল্টারে ২৪ লক্ষ লোকসহ গৃহপালিত পশু-পাখি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণ  যথাসময়ে স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছিল । ফলে প্রাণহানি ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকাসহ সমগ্র দেশের যেখানে প্রয়োজন নদী সমূহের ড্রেজিং, নদী শাসন ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ দিয়ে বন্যাসহ ঘূর্ণিঝড়ের মতো যে কোন দুর্যোগ থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষায় সরকার বিপুল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করবে । এতে করে বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

এছাড়া সরকার সারাদেশে আরো এক হাজার সাইক্লোন শেল্টার এবং এক হাজার মুজিবকিল্লা নির্মাণ করবে  প্রতিটি মুজিবকিল্লা হবে চার তলা বিশিষ্ট। সাইক্লোন শেল্টার এবং মুজিব কিল্লাসমূহে শিশু,নারী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য থাকবে আলাদা টয়লেট ও বিশেষ ব্যবস্থা।

উপকূল ফাউন্ডেশন এর সভাপতি এম আমিরুল হক পারভেজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন,বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এএম আমিনুল হক,বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ একেএম সাইফুল ইসলাম এবং এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম।

 


   আরও সংবাদ