ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩২, ১৯ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

ভিপিএন বাস্তবায়নে পুলিশে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশ: ৪ নভেম্বর, ২০২০ ১৬:০৬ অপরাহ্ন


ভিপিএন বাস্তবায়নে পুলিশে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলো : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, 'ভিপিএন কানেক্টিভিটি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে।

ফলে বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ের গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণসহ নির্ভুল তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সকল সেবা সঠিকভাবে জনগণের নিকট পৌছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

ফলে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। মুজিব বর্ষ ২০২০ এ জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো।'

আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) সকালে জুম প্লাটফর্মে বাংলাদেশ পুলিশকে আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্ক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো সরকার-৩ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত বাংলাদেশ পুলিশের ১০০০টি অফিসের ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) কানেক্টিভিটির হস্তান্তর ও উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ‍ পলক। সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।

এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপুলিশ পরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই ভিপিএন  প্রকল্পের মাধ্যমে স্থাপিত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অবকাঠামোটি বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।

প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ভিপিএন কানেক্টিভিটির মাধ্যমে এক হাজার অফিস হতে বাংলাদেশ পুলিশের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারসমূহ নির্বিঘ্নে ও নিরাপত্তার সাথে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে।

বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় পার্সোনেল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (পিআইএমএস) সফটওয়্যার, পুলিশের তদন্তের গুণগতমান উন্নয়নে অপরাধী ও অপরাধ চিহ্নিতকরণ ও উদঘাটনে ক্রিমিনাল ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফট্ওয়্যার, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

 বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর ব্যবহার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আধুনিকায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ফলে এসব প্রযুক্তির ব্যবহার অপরাধ দমনসহ জনগণকে সেবা দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করছে। প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ পুলিশের ১০০০টি অফিসে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) কানেক্টিভিটি স্থাপন কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব‍্যবহার করছে বলেই জনগণ পুলিশ থেকে সর্বাধিক সেবা পাচ্ছে। দক্ষ, প্রযুক্তি নির্ভর ও জনবান্ধব পুলিশ গড়াই আমাদের লক্ষ‍্য।

ইনফো- সরকার ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় এক হাজার পুলিশ অফিসে স্থাপিত ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি পুলিশের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।'  

প্রকল্পের আওতায় এক হাজার পুলিশ অফিসে ৫এমবিপিএস হারে ডাটা ব্যান্ডউইথ প্রদান করা হচ্ছে যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, “ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়” প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পসমূহের মধ্যে অন্যতম। প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন মোতাবেক “জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প” হিসেবে বিগত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬০০টি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রদান কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।

এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬০% ভৌগলিক এলাকার প্রান্তিক গ্রামীণ জনপদের প্রায় ১০ কোটি জনগণের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

শহর এবং গ্রামের ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ এবং নারী-পুরুষের সমতা বাস্তবায়িত হবে। শিক্ষা ব্যবস্থা ডিজিটাইজেশন করার মাধ্যমে শিক্ষার গুণগতমানের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।

ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে (ইউডিসি) উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান, কারিগরি জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে যোগ্যতা বৃদ্ধি এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। ২০২১ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক ২.২৫% থেকে ১২% এ উন্নীত হবে। ফলে জিডিপি ১% বৃদ্ধি পাবে।


   আরও সংবাদ