প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সহকারি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার লালসার শিকার ১০ বছরের কিশোরী হাসপাতালে ‘মা’ হওয়ার বেদনায় জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তার তাকে খুলনায় রেফার করলেও টাকার কারণে ভর্তি হতে পারছে না। আর আদালতে মামলা চলায় এই মুহূর্তে সন্তান প্রসবও করাতে পারছে না শিশুটির পরিবার। শিশুর পেটে শিশুর জন্ম নেয়ায় দুইজনের জীবন নিয়ে সন্ধিহান হয়ে উঠেছে তার পরিবার।
কিশোরীর স্বজনরা জানান, ৮ মাসের অন্ত:সত্বা শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বুধবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার উপদেশ দেন চিকিৎসক।
পরীক্ষার নিরীক্ষার রিপোর্ট দেখে হাসপাতালের চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন জানান, শিশুটির অবস্থা ক্রিটিক্যাল হওয়ার কারণে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তার স্বজনরা জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে তাকে খুলনায় নিতে পারছেন না।
তিনি আরো জানান, শিশুটির ডেলিভারির সম্ভব্য তারিখ আগামী ১৭ অক্টোবর। এর আগেও প্রসব হতে পারে। তবে বয়স খুব হওয়ায় নরমালে প্রসব হওয়ার সম্ভব খুবই কম।
তার স্বজনরা জানান, ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানার আসাননগর গ্রামের মৃত চাঁদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ও পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের মণিরামপুর শাখার সহকারি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া (৫৫) মণিরামপুরের পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামে সুজায়েত আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। ভাড়া বাড়িতে কাজ করার জন্য মণিরামপুর উপজেলার মাছনা গ্রামের ওই শিশুকে নিয়ে আসেন।
চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে একই ভাবে ধর্ষণ করে আসছিল। পাঁচ মাস শিশুটি অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় ডাক্তারী পরীক্ষাও অন্ত:সত্বার রিপোর্ট আসলে ১ জুলাই গোলাম কিবরিয়াকে আসামি করে মামলা করে।ওই দিন তাকে পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।