প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২০ ২০:২৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, আমাদের যুবসমাজ পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশি সম্ভাবনাময়। তারা অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাশক্তির ভয়াল থাবা হতে আমাদের যুবসমাজকে দূরে রাখতে হবে। তাদের কে বেশি বেশি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ করে দিতে হবে।
দেশের আনাচে কানাচে খেলাধুলাকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সুস্থ সবল জাতি গঠনে ক্রীড়া চর্চার বিকল্প নেই। সুস্থ্য জাতি গঠনের মধ্যে দিয়ে কেবল বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব। আর সেই লক্ষ্যে আমরা এবার প্রথমবারের মতো দেশের শীর্ষ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন কেন্দ্রে আমাদের নবনিযুক্ত জেলা ক্রীড়া অফিসারগণকে বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিষণ প্রদানের ব্যবস্হা করেছি।
আমি বিশ্বাস করি, এ বুনিয়াদি প্রশিক্ষন ফলে তারা আরও বেশি দক্ষ হয়ে উঠবে এবং দেশের ক্রীড়ার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সমর্থ হবে। এরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বিনির্মাণ করবে।
আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরে নব নিযুক্ত জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাগণের ১ম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নব নিযুক্ত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করুন। তিনি যেমন দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন তেমনি ভাবে আপনারাও সর্বোচ্চ সততা ও পেশাদারিত্বের সাথে আপনাদের উপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি গ্রাম ও গ্রামের মানুষকে ভালো বাসতেন তাই দেশ স্বাধীন এর পরপরই গ্রামীন খেলা হাডুডুকে জাতীয় খেলার মর্যাদা দিয়েছিলেন। আপনারাও দেশের হারিয়ে যাওয়া গ্রামীন খেলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, নবনিযুক্ত ২৮ জন জেলা ক্রীড়া অফিসার বিপিএটিসিতে অনুষ্ঠিত দুই মাসব্যাপী বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষন কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের এমডিএস সৈয়দ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া সচিব আখতার হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মোমিনুর রহমান।