ঢাকা, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩২, ১৭ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের থ্রিডি হলোগ্রাম অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর


প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৩৫ অপরাহ্ন


মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের থ্রিডি হলোগ্রাম অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার :সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ ও চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে লাইট এণ্ড সাউন্ড শো এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের থ্রিডি হলোগ্রাম অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ প্রদান করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়া তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রকল্পের গুণগতমান বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

আজ মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন 'মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন (২য় পর্যায়) প্রকল্প' এর পর্যালোচনা সভা মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর বাংলাদেশের স্বাধীনতার অন্যতম তীর্থস্থান ও প্রথম (অস্থায়ী) রাজধানী। মুজিবনগরকে দৃষ্টিনন্দন আন্তর্জাতিকমানের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মুজিবনগরে এসে দেশি-বিদেশি পর্যটকগণ যাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারেন এবং একইসাথে আম্রকাননের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রকল্পটির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য, বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের ভাস্কর্য, ডিওরোমা, প্যানোরামা, মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য বাগান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিশুপার্ক, নভোথিয়েটারসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান এর সভাপতিত্বে পর্যালোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের  সচিব তপন কান্তি ঘোষ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার,  স্থাপত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলিসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ভাস্কর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ