প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ২১:২৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত বিশ্বের ন্যায় দেশেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তাজুল ইসলাম বলেন, পয়ঃবর্জ্য, কঠিন বর্জ্যসহ অন্যান্য সব ধরণের বর্জ্য এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়। মানুষের স্বাস্থ্যের হানি না ঘটে। এজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ গড়তে যত ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সরকার তার ব্যবস্থা করবে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষ থেকে পৌরসভার পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীদের জন্য অবহিতকরণ কর্মশালায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশেও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার বিষয়টি পরযালোচনা করা হচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেশ গড়তে সবধরণের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের পৌরসভা গুলোতে যে সকল সমস্যা আছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মেয়রদের কাছ থেকে সে সকল সমস্যার কথা শুনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি পৌরসভাগুলোকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতি হওয়ায় পয়ঃবর্জ্যের পরিমাণ অনেক বেশি। তা সত্বেও খোলা স্থানে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশে অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু সিটি কর্পোরেশ অথবা পৌরসভায় নয় এই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রামে পরযায়েও করতে হবে।
দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে হলে শুধু অর্থনৈতিক সূচক পূরণ করলেই হবে না। স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ অন্যান্য যে প্যারামিটার আছে সেগুলোতেও গুরুত্ব দিতে হবে অর্থ্যাৎ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরি করতে সবধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হবে। কর্মশালায় কারিগরি বিষয়বলি উপর ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং নেটওয়াক-বুয়েটের পরিচালক ড. তানভীর আহমেদ উপস্থাপনা প্রদান করেন এবং ইউনিসেফ এর ওয়াশ সেকশন চিফ মি. দারা জনস্টন এসডিজি ৬.২ লক্ষমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং ৫০টি পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীগণ অনলাইন কর্মশালায় অংশ নেন।