প্রকাশ: ৪ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছর ২৯ শে মে লিবিয়ার মিজদা শহরে মানব পাচারকারীদের দ্বারা বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে ২৬ জন বাংলাদেশী নিহত ও ১২ জন আহত হয়। এদের মধ্যে আহত ৯ জন ভিকটিমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) সকালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)'র হেডকোয়ার্টাসে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি আবদুল্লাহ হিল বাকি এসব তথ্য জানান।
বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে আহত ভিকটিমরা হলেন- ফিরোজ বেপারী, জানু মিয়াঁ, ওমর শেখ, সজল মিয়াঁ, তরিকুল ইসলাম, বকুল হোসেন, আলী, সোহাগ আহমেদ ও সাইদুল ইসলাম। আহতের মধ্যে বাপ্পীদত্ত, সম্রাট খালাসী ও সাজিদ ফ্লাইটে দেশে আসে নি।

ডিআইজি বলেন, বাংলাদেশ ও লিবিয়ার যৌথ উদ্যোগে বোরাক এয়ারের বিশেষ একটি ফ্লাইট ২১৮ যোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন করেন। সিআইডির মানব পাচার ইউনিট ৯ জন ভিকটিমকে বিমানবন্দর থেকে সিআইডি কার্যালায়ে নিয়ে আসে। মামলার তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলের বর্ণনা, ঘটনার সার্বিক বিবরণ ও প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য গ্রহণের জন্যে ভিকটিমদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, লিবিয়ায় বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিআইডি ২৬টি মামলা করেছে। তার মধ্যে সিআইডি ১৫টি মামলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে এবং মামলার তদন্তে ইতিমধ্যে আসামী গ্রেফতারসহ অনেকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিআইজি আবদুল্লাহ হিল বাকি বলেন, বিদেশে অবস্থানরত দালাল ও মূল আসামীদের গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের মাধ্যমে অচিরেই গ্রেফতার প্ররোয়াণা জারী করা হবে। বর্বরোচিত ঘটনার পর সিআইডি আহত ভিকটিমদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। পরে আজকে ভিকটিমদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। সিআইডি'র প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ ঘটনায় খুব অল্প সময়ে ভিকটিমদের আদালতে জবানবন্দি প্রদান করার জন্য উপস্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, ঘটনাটি নিরিখে সিআইডি বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন ও বনানী থানায় ৩টি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় সিআইডির তদন্তাধীন ১৫ টি মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।