প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৩৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে গরীবের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। সারা দেশের গরীব-দু:খীদের সবচেয়ে বড় বন্ধু এবং তৃণমূল মানুষের সবচেয়ে বড় নেতা হলেন শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা জীবিত আছেন বলে আমরা স্বপ্ন দেখার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের যত ধরনের হতাশা ছিল তা কেটে গেছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জন করতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস দৃঢ় হয়েছে। ।
ড. মোমেন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যেমন বলিষ্ঠ, ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে ওঠেছে, তেমনি তিনি দেশে আইন ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারছেন। হরতাল আর অবরোধের মত ঝামেলা মোকাবিলা করতে হচ্ছে না। দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন সময়মত পরীক্ষা হয়। অনেক বছর ধরে সেশনজট লেগেই থাকত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুনের বিচার করা হবে না- এ ধরনের আইন এদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের ফলে সেই ঘৃণিত ইনডেমনিটি আইন দূর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের কেবল স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ দেননি, তিনি আমাদের হৃদয়ে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, দেশের যেখানে ধনী-দরিদ্রের আকাশসম ফারাক থাকবে না এবং অন্ন, বস্ত্র বাসস্থান সবার জন্য নিশ্চিত হবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘজীবন কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফালগুনী হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু ।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: শাহে আলম মুরাদ।