প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোরের চৌগাছায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি ঘটক তিব্বতকে আটক করেছে পুলিশ। তিব্বত জগদিশপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আইনাল হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার আসামিরা হলো, ঘটক তিব্বত, চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কিসমতখানপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মোহন (৩৫) ও তিব্বতের ভাইরা ভাই (অজ্ঞাত)। ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় মামলা করেন।
রোববার সন্ধ্যার পর চৌগাছা থানার এএসআই নজরুল ইসলাম তিব্বতকে আটক করেন। আর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ কর্মকর্তা অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেন।
প্রসঙ্গত. ২৮ আগস্ট ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ঘটক তিব্বত ও তার ভাইরা ভাই অপহরণ করে নিয়ে ঝিনাইদহ নিয়ে যায়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে এসে মেয়েটিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিতেরপুর গ্রামের আইনজীবি মাসুদ আহম্মেদের মাধ্যমে এভিডেভিট করে মেয়ের বয়স ১৯ বছর দেখিয়ে চৌগাছা উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কিসমতখানপুর গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে মোহনের সাথে বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর মোহন মেয়েটিকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার আদমপুর গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠে।
মেয়ের বাবা জানান, থানায় অভিযোগ দিলে শনিবার সন্ধ্যায় কিসমতখানপুর থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আজ রবিবার ঘটক তিব্বত কে আটক করেছে। মোহন ইতোপূর্বে দুই বিয়ে করেছে। তার দুই স্ত্রী মারা গেছে।