প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন আমিনবাজার এলাকার সালেহপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ গাংচিল বাহিনীর প্রধান সালাউদ্দিন ওরফে এমপি সালাউদ্দিনসহ তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪'এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল)'এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধরী এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল,একটি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড গুলি, ১৯০ গ্রাম হিরোইন এবং ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
২০০০ সাল থেকে সাভার আমিন বাজার ও তার আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার মধ্য দিয়ে উতত্থান হয় গাংচিল বাহিনীর। যার প্রধান ছিল আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। বেশিরভাগ সময় পানিবেষ্টিত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় এর নাম দেওয়া হয় গাংচিল বাহিনী।
২০১৭ সালে আনারের মৃত্যুর পর তার সহযোগী সালাউদ্দিন এমপি সালাউদ্দিন নেতৃত্বে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করে। এ বাহিনী মূলত আমিন বাজার, গাবতলী, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বেড়িবাধ, কেরানীগঞ্জ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, খুন ইত্যাদি কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।
দুর্ধর্ষ গাংচিল বাহিনী ২০০২ সালে সাভার থানার ০১ জন এসআই কে হত্যা, ২০০৭ সালে ০২ জন র্যাব সদস্যকে হত্যা, দিয়াবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির অস্ত্রলুট এবং আমিন বাজার এলাকায় নৌ-টহল দলের অস্ত্রলুট এর সাথে জড়িত ছিল। এ বাহিনী তুরাগ ও বুড়িগঙা নদীর বালুভর্তি ট্রলার, ইটের কার্গোতে ডাকাতি ও আমিন বাজার এলাকার শতাধিক ইটভাটা থেকে নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতো।
এছাড়াও এলাকার প্রভাবশালীদের টার্গেট করে গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চাঁদাবাজি, খুন, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই সহ তুরাগ আর বুড়িগঙ্গা নদীর দুই ধারে একক ছত্র অধিপত্য বিস্তার ছিল এই বাহিনীর প্রধান কাজ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়, তারা সবসময় নদীতে ও নদীর তীরবর্তী এলাকায় তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে এবং বেশিরভাগ সময় নদীপথে যাতাযাত করে। তাদের যাতাযাতের বাহন ছিল ডাবল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। তারা সাভার-আমিনবাজার এলাকার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক ও তুরাগ- বুড়িগঙ্গা নদীতে চলাচলকারী বালু ভর্তি ট্রলার মালিকের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা আদায় করতো। চাঁদা না দিলে নেমে আসতো ভয়াবহ বিপদ।
উল্লেখ্য, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বে সাভার মডেল থানায় খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মারামারির একাধিক মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।