প্রকাশ: ৩১ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৩৯টি এনজিও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। এদের মধ্যে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় ৪১টি এনজিওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ শনিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনও বিভিন্ন এনজিও একই কাজ করছে। সে ধরনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি এনজিও নানাভাবে তদবির করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার।
রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন হতে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। নতুন-পুরনো মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
দেশি-বিদেশি এনজিওর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার তাদের খাদ্য, অস্থায়ী বাসস্থান, চিকিৎসা, বস্ত্র, লেখাপড়া, বিনোদনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার হচ্ছে। আর এসব কর্মকাণ্ডে অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।