প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নরসিংদীর মাধবদী থেকে কুখ্যাত মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা আমীর হোসেন ওরফে সিরাজউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে সিরিয়াস ক্রাইম, অর্গানাইজড ক্রাইম (সিআইডি)।
বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে সিআইডি'র মিডিয়া শাখার পরিচালক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসান এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিদেশী গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ৪ জন কুখ্যাত মানব পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার করে আসছিল।
এই সূত্র থেকে আরো জানা যায়, এ চক্রের সদস্যদের হাতে ৯০০ এর অধিক ভিকটিম কুয়েতে পাচারের শিকার হয়। জন প্রতি ৬ লক্ষ বা তার অধিক টাকার বিনিময়ে তারা ভিকটিমদের কুয়েতে পাচার করে। উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়েতে পাচারের পর ভিকটিমদের উপর নেমে আসে দুর্বিষহ জীবন। প্রতারিত বাংলাদেশি নাগরিকরা কুয়েতে কোন কাজের সন্ধান পায়নি, বরং সেখানে খাদ্য ও বাসস্থান সংকটের ফলে উদ্ভাস্তু অবস্থায় কুয়েতের রাস্তায়- রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হয়।
চক্রটি কুয়েতে ভিকটিমদের বন্দী করে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ গ্রহন করে। তাছাড়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হতে উল্লেখিত ভিসাগুলো নেয়া হয়েছে মর্মে সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়।
এদের মধ্যে কয়েকজন ভিকটিম কুয়েতের সরকারী এজেন্সি ও জনশক্তি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি তদন্ত শুরু করে।কুয়েত এজেন্সি তদন্তে চক্রটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় এবং অভিযোগটির নিরিখে কুয়েতের আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে এ চক্রের ৪ সদস্যের এর মধ্যে এক জন কুয়েতি ও ৩ জন বাংলাদেশি বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালত অভিযোগ আমলে নেয়।
ইতিমধ্যে, আদালত তাদের ৩ বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ৩ বছর কারাদন্ড ও অর্থদন্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে। এ চক্রের অন্যতম সদস্য জনৈক কুয়েতি নাগরিক ৬ বছরের সাজা প্রাপ্ত হয়ে কুয়েতে কারা ভোগ করলেও সম্পৃক্ত ৩ বাংলাদেশী মানব পাচারকারী যে কোন উপায়ে দেশে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
সম্প্রতি সিআইডির অর্গানাইজ্ড ক্রাইম এমন তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে।
এ বিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা। পাশাপাশি এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য সিআইডির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
