প্রকাশ: ১৭ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত মৌসুমে জেলায় ১২ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ১৭ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে।
অর্থাৎ গত মৌসুমের চেয়ে এবার ৪ হাজার ২২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর, শার্শা উপজেলায় ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর, ঝিকরগাছায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর, চৌগাছা উপজেলায় ২ হাজার ৬০০ হেক্টর, মনিরামপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর, বাঘারপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ২২০ হেক্টর, অভয়নগর উপজেলায় ৬৬৫ হেক্টর ও কেশবপুর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে।
এবার আউশে বিআর-২৬, ব্রি ধান-২৮, ৪৮, ৫০, ৫৫, ৫৮, ৬৩, ৮২ ও ৮৩, বিনা ধান-১৯, মিনিকেট, রহিম স্বর্ণ, শুভলতা, গণতারা, জিএস ওয়ান, জামাইবাবু, হাইব্রিড ইস্পাহানি, সিনজেন্টা, ১২০৬, তেজগোল্ড, এসএলএইটএইচ, হিরা ও অ্যাগ্রো ধান-১৪ জাতের ধানের চাষ হয়েছে।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনকুলে থাকায় আউশ ধানের ভাল ফলন হবে বলে আমরা আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কৃষকেরা আউশ ধানের চাষ করলে ঐ জমিতে সরিষা চাষ করে আবার বোরো ধানের চাষ করতে পারে। সে হিসেবে দুই ফসলি জমিতে সহজেই তিন ফসল চাষ করা যায়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, এবার জেলার ৫ হাজার ৫০০ জন কৃষককে আউশ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি করে বীজ ধান, ২০ কেজি করে ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং ১০ কেজি করে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার পেয়েছেন।