প্রকাশ: ১৩ অগাস্ট, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আগামী শনিবার ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২০ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনের লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থাসমূহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর ও সংস্থার দাপ্তরিক ভবনসমূহে, প্রধান কার্যালয় ও আঞ্চলিক কার্যালয়ে ড্রপডাউন ব্যানার স্থাপন করা হবে এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার ফয়সল হাসান এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগামী ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার বিকাল ৪:০০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি'র সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি প্রধান অতিথি এবং সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
শোক দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার ১৬ আগস্ট বাংলা একাডেমি 'শতবর্ষে বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করছে। আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর ০৭-২১ আগস্ট মেয়াদে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবন সম্পর্কিত কিছু বিরল ফটোগ্রাফির সমন্বয়ে ডিজিটাল প্রদর্শনীর আয়োজন করছে।
জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বিভাগীয় পর্যায়ে এক লাখ টাকা, জেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের রূপরেখা সকল বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা কালচারাল অফিসারগণ জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে কর্মসূচিটি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এছাড়া দিবসের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জাতির পিতার স্মরণে এবং দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও কপিরাইট অফিস কর্তৃক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও সেমিনার আয়োজন; স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক অনলাইন ভিত্তিক রচনা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা আয়োজন; বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক বঙ্গবন্ধু রচিত গ্রন্থসমূহের ওপর অনলাইন ভিত্তিক পাঠ পর্যালোচনা অনুষ্ঠান; বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃক ভার্চুয়াল আলোকচিত্র প্রদর্শনী; বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি নিদর্শন নিয়ে ভার্চুয়াল প্রদর্শনী; বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট/একাডেমি/কেন্দ্রসমূহ কর্তৃক অনলাইনে বিভিন্ন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন প্রভৃতি।
