ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

মুজিববর্ষে কেউ কর্মহীন থাকবে না : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল


প্রকাশ: ১২ অগাস্ট, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


মুজিববর্ষে কেউ কর্মহীন থাকবে না : ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল

স্টাফ রিপোর্টার : যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে কেউ কর্মহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন এর অভিষ্ট (এসডিজি গোল) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্জনে সরকার বদ্ধপরিকর। 

এ লক্ষ্যে দেশের যুবসমাজকে আধুনিক, প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে চলেছে।  আমরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে এ পর্যন্ত প্রায় ৬২ লক্ষ যুবককে সময়োপযোগী বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষন প্রদান করেছি। তন্মধ্যে প্রায় ২৩ লক্ষ  যুবক স্বাবলম্বী হিসেবে  গড়ে উঠেছে। 

আমরা প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখের অধিক যুবকদের প্রশিক্ষন প্রদান করছি। দেশের প্রতিটি উপজেলায় যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করেছি।

আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২০। এ বছরে দিবসটির প্রতিপাদ্য বৈশ্বিক কর্মে যুবদের সম্পৃক্ততা (বিশ্বব্যাপী কর্মের জন্য যুবকদের জড়িত হওয়া)। প্রতিবছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় এ বছরও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। 

আজ বুধবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৩ টায় দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ইউএনভি (ইউএন স্বেচ্ছাসেবক) বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে মতিঝিলস্হ যুব ভবনে "বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তরুণ ও স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা" শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্হায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এবং  যুব ও ক্রীড়া সচিব আকতার হোসেন। 

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, করোনার কারণে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যাতে পিছিয়ে না পড়ে, যুবরা যেনো কর্মহীন হয়ে না পড়ে সেজন্য সরকার যুবদের জন্য গ্রামে আত্নকর্মসংস্হান নামক বিশেষ প্রকল্প গ্রহন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাত লাখ যুবক প্রশিক্ষন ও যুব ঋন সুবিধা পাবে।

রাসেল বলেন,  যুবদের উন্নয়ন স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে যুবদের পন্য বাজারজাতকরনের চ্যালেন্জ সফল ভাবে মোকাবেলার জন্য 'যুব ব্যান্ড' প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।  যার মাধ্যমে গ্রামীন ও প্রান্তিক যুব জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা সম্ভব হবে।  ইতিমধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে অনলাইন মার্কেটিং চ্যানেল তৈরির লক্ষ্যে পাইকারি সেল ডটকম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী যুব উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত  অন্যান্য পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ যুবদের জন্য একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী জাতীয়  যুব নীতি প্রণয়ন করেছে।  এছাড়া UNFPA এর কারিগরি সহায়তায় জাতীয় যুব উন্নয়ন সূচক চূড়ান্ত হয়েছে এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ কাউন্সিলের গঠনের শেষ পর্যায়ে রয়েছি আমরা। দেশি বিদেশি যুবকদের ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রশিক্ষন দেবার লক্ষ্যে একটি ভার্চুয়াল  আন্তর্জাতিক ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ করতে যাচ্ছি। যেখান থেকে বাংলাদেশসহ  বিশ্বের সকল দেশের যুবকরা অনলাইনে আধুনিক ও উন্নত প্রশিক্ষন গ্রহন করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালটি বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  কারন আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করছি একই সাথে বছরব্যাপী সারা বিশ্বের তরুণদের অংশগ্রহণে ঢাকা  ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর নানা বর্নাঢ্য কর্মসূচি উদযাপন করবে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে মহাপরিচালক জনাব আখতারুজ্জামান কবীর অনুষ্ঠান টি সন্ঞালনা করেন। প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহন করেন আসিফ সালেহ, নির্বাহী পরিচালক,  ব্রাক, ফারাহ কবির,  কান্ট্রি ডিরেক্টর, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ, আকতার উদ্দিন, কান্ট্রি কো- অর্ডিনেটর, ইউএনভি বাংলাদেশ, মানিক মাহমুদ, হেড, সোশ্যাল ইনোভেশন, এটুআই প্রকল্প এবং ফাহমিদা ফাইজা, ইয়ুথ এক্টিভিস্ট।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আজ সকালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক পথচারি, রিকসা ও ভ্যানচালকদের মাঝে বিনামূল্যে  মাস্ক বিতরন করা হয়েছে। 

তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ওয়াল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ ১২ আগস্টকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস হিসেবে উদযাপনের প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে আন্তর্জাতিক যুব দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 


   আরও সংবাদ