ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় মুখে বিষ ঢেলে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পরিবারের


প্রকাশ: ৭ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় মুখে বিষ ঢেলে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ পরিবারের

   

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় মুখে বিষ ঢেলে নাজমা বেগম (৪৫) নামের এক বিধাব গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। দুই সন্তানের জননী নাজমা বেগম উপজেলার সুকপুকুরিয়া ইউনিয়নের পুড়াপাড়া গ্রামের মৃত শাহাজানের স্ত্রী।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে দেবর আমিনুল ও তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম পারিবারিক কোলহের জের ধরে নাজমা বেগমের মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেয়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগীতায় উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে ও পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে গতকাল ভোরে নাজমা বেগমের মৃত্যু হয়।

নিহতের খালাত ভাই প্রভাষক ফারুখ হোসেন জানান, প্রায় দুই বছর পূর্বে আমার বোনের স্বামী মারা যায়। স্বামীর মৃত্যুর পরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শশুর বাড়িতেই বসবাস করছিল। আমার বোনের জামাই তার আপন ছোট ভাই আমিনুল ইসলামের কাছে কিছু টাকা পাওনা ছিল। ভাইয়ের মৃত্যুর পরে আমিনুল আমার বোনকে টাকা ফেরত দিতে অস্বিকার করে। স্থানীয় গণ্যমান্যদের সহযোগীতায় আমিনুল ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই আমার বোন ও তার ছেলে মেয়েকে টাকা ফেরৎ চেয়ে প্রায়ই হত্যার হুমকি দিত আমিনুল ইসলাম। হুমকির ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি জিডিও করেন আমার বোন নাজমা। 

এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে বোনেরর দেবর আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মরিয়ম জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এসময় নাজমার ডাক চিৎকারে তার ছেলে ও মেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু কালামের সহযোগীতায় উদ্ধার করে প্রথমে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শুক্রবার ভোরে নাজমার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু কালাম জানান, ‘নাজমা বেগমের পরিবারে তার স্বামী জীবিত থাকালীন সময় থেকেই দেবর আমিনুল ইসলামের সাথে কলোহ ছিল। মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে কি বলতে পারবনা। তবে যতটা শুনেছি আমিনুল ও তার স্ত্রী মরিয়ম নাজমার ঘরে তালা দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতে নিষেধ করে এবং নাজমা বেগমকে বিষ পার করে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিলে সে বিষ পান করে’। 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বত পুলিশ অফিসার এসআই রুহুল আমিন মৃত্যু ঘটনা নিশ্চত করে জানান লাশের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। 

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিব বলেন, ‘আমি ছুটিতে রয়েছি। কবে কি বিষয়ে জিডি করেছিল নথি না দেখে এখনি বলা সম্ভবনা। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে’।

এদিকে লাশের ময়না তদন্ত শেষে নাজমা বেগমের বাবার বাড়ি কোটচাদপুর উপজেলার তালশার গ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। 


   আরও সংবাদ