প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের দুই ধারের মরা শুকনো গাছ ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব শুকনো গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ে যে কোন মুহুর্তে প্রাণ নাশের মতো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে এ মহাসড়কের ঝিকরগাছায় অন্তত ৩০টি গাছের অবস্থা ভয়াবহ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছা উপজেলা মোড় হতে নাভারণ পুরাতন বাজার পর্যন্ত ৩০টি শিশুগাছ শতভাগ শুকিয়ে গেছে। প্রায় দুইশ’ বছরের পুরনো এই গাছগুলোর কারণে ব্যস্ততম এই মহাসড়কে পথচারীসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ঝিকরগাছা উপজেলা মোড়, বাসস্ট্যান্ড, হাজিরালী মহিলা কলেজ মোড়, বালিখোলা, বেনেয়ালী, গদখালী বাজার, শরীফপুর মোড়, নবীবনগর, কলাগাছি ও নাভারণ কলোনীপাড়ায় মরে শুকিয়ে যাওয়া এসব গাছের কারণে এলাকাবাসী দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন। ইতোমধ্যে এসব মরা গাছের ডালপালা ভেঙে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন, মারা গেছে গবাদিপশু ও ক্ষতি হয়েছে বেশকিছু যানবাহনের।
ঝিকরগাছা বিএম হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেবা ফারিহা বলেন, মরা গাছের নিচে দাঁড়াতে খুব ভয় লাগে।
স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেবার সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু জানান, ঝিকরগাছা বাসস্ট্যান্ডে মরে শুকিয়ে যাওয়া গাছটির নিচে বাসের অপেক্ষায় যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকেন। এই মরা গাছের পাশেই সুপার মার্কেটের প্রবেশদ্বার ও নিকটে জামে মসজিদ। ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গত ৬ আগস্ট মরা শুকনো গাছ কাটার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে।
একই দাবিতে উপজেলা মোড় এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম শহিদও বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমী মজুমদার জানান, জেলা পরিষদের মাসিক সভায় বিষয়টি জেলা প্রশাসনসহ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরি বিষয়টি সুরাহা হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল জানান, ইতোমধ্যে এই মহাসড়কের সকল মরা ও ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বন বিভাগের মাধ্যমে সার্ভে করে তা অপসারণ করা হবে।