প্রকাশ: ১৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মণিরামপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে ও গলা কেটে ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকান্ডের প্রকৃত মোটিভ উদঘাটিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত কথিত ৫ চরমপন্থীকে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতে এ হত্যাকান্ডের প্রকৃত মোটিভ বেরিয়ে এসেছে।
পুলিশ জানায়, গত ৯ জুলাই দুপুরে সন্ত্রাসীরা রফিকুলকে গুলি করে ও কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিরিনা আক্তার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। ০৯ জুলাই, মামলা নম্বর ০৬।
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন শনিবার এক প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতয়ালী, অভয়নগর ও মণিরামপুর থানা যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গত শুক্রবার অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হেলাল ভূঁইয়া (২০), সেলিম (২২), হাসান আলী, সমীরণ পাঁড়ে (৫৪) ও তাপস মোড়ল (৩৮) নামে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যববহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের চরমপন্থী সংগঠন ‘নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি’র সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। নিহত রফিকও একসময় তাদের সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন তাকে টাকা ও মোবাইল ফোন সেট দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে সহযোগীরা।
গ্রেফতারকৃত ৫জনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্যে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ৯ জুলাই দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার কুচলিয়া এলাকায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় ইজিবাইক চালক রফিকুল ইসলামকে। তিনি একই উপজেলার মধুপুর গ্রামের আমারত বিশ্বাসের ছেলে।