ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন জাতিসংঘ প্রয়োজন


প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন জাতিসংঘ প্রয়োজন

   

কূটনৈতিক প্রতিবেদক : নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের  (ইকোসকে) সভায় এ বছরের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনের মূল ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জাতিসংঘকে সংস্কার করে নতুন বহুপক্ষীয়তার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ - ভারতের এই উন্নয়নমূলক নীতিটি কাউকে পিছনে না রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারই প্রতিফলন।

গতকাল শুক্রবার ১৭ই জুন নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য (২০২১-২২) নির্বাচিত হওয়ার পর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলির উদ্দেশে এই প্রথমবার ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ বছর ইকোসকের সভার মূল প্রতিপাদ্য কোভিড-১৯ পরবর্তী বহুপাক্ষিকতা ৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন জাতিসংঘ প্রয়োজন।

জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উচ্চস্তরীয় ইকোসক অধিবেশনের মূল প্রতপাদ্যের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি প্রতিফলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে “বহুপাক্ষিক সংস্কারের” পক্ষে পুনরায় ভারতের আহ্বানের কথা তুলে ধরেন যা, সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ ইকোসক এবং জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ - ভারতের এই উন্নয়নমূলক নীতিটি কাউকে পিছনে না রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারই প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, ভারতের এই বিশাল জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক সূচক উন্নয়নে সাফল্য বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের মাধ্যমে সাফাই কার্যকলাপে উন্নতি, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ এবং সকলের আবাসন আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মতো জন কল্যাণমুখী কর্মসূচির মাধ্যমে আবাসন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ চলমান একাধিক উন্নয়নমূলক প্রয়াস তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় ভারতের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।

নিজের পাশ্ববর্তী অঞ্চলকেই অগ্রাধিকার দান প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশকে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত সরকার এবং ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সহায়তা প্রদান ও সার্কভুক্ত দেশগুলির মধ্যে একটি যৌথ কৌশলগত প্রতিক্রিয়া সমন্বিত করার কথাও স্মরণ করেন।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী ইকোসকে ভাষণ দিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইকোসকের ৭০তম বার্ষিকীতে তিনি মূল ভাষণ দিয়েছিলেন।


   আরও সংবাদ