প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : করোনার নমুনা পরীক্ষা আরো বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যবিভাগের মধ্যে সু-সমন্বয় জরুরি বলেও মনে করি
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষা ক্রমে কমছে। আবার পরীক্ষিত নমুনা বিবেচনায় আক্রান্তের শতকরা হার বেশি যা অংকের হিসাবে প্রায় চার ভাগের একভাগ। করোনার নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ল্যাবগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাতে স্বাস্থ্যবিভাগের কার্যকর ও দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করে বলেন, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যবিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী করোনার চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধ এবং অন্য রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে সু-সমন্বয় প্রতিষ্ঠা জরুরি।
নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের ফলে অনেক অসহায়, কর্মহীন, দরিদ্র মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পরীক্ষা করাতে আসে না- এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অসহায় মানুষগুলোর সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি।
কাদের বলেন বলেন, করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ যেমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে অন্যদিকে বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্ট হওয়ার আশংকাও তৈরি হয়েছে। তাই এ ধরনের অপকর্ম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভবিষ্যতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে।
বিভিন্ন জেলায় কোরবানির পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না, ক্রেতা-বিক্রেতার অবাধ বিচরণ ও স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলতে পারে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পশুরহাটের ইজারা গ্রহিতা, স্থানীয় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ সবার প্রতি পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর কঠোরতা প্রদর্শনের অনুরোধ রইলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই দুর্যোগে অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের প্রায় ১৫টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। অন্য জেলায়ও বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে- বিশেষজ্ঞদের এমন আশংকার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই পানিবন্দি মানুষের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
বন্যার পানিতে মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসল, গবাদিপশুসহ অন্য সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার পানিবন্দি মানুষকে ইতোমধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রায় এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ এবং মানবিক সহায়তায় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান কাদের।