ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে : হাইকোর্ট


প্রকাশ: ২৭ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


সুন্দরবন রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে : হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : অ্যামাজন যেমন পৃথিবীর ফুসফুস, ঠিক তেমনই সুন্দরবনও আমাদের ফুফুস। আজ অ্যামাজন পুড়ছে। বিশ্বের মানুষ অ্যামাজনকে রক্ষায় সচেষ্ট। তাই সুন্দরবনকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। এই ব্যাপারে সবাইকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত শুনানিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন প্ররিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় কতগুলো শিল্প কারখানা হবে সেটা নির্ধারণ করবে সরকার। ভবিষ্যতে সঙ্কটাপন্ন এলাকায় নতুন শিল্প স্থাপন বন্ধে কোন সিদ্ধান্ত নিতে এ রায় বাধা হবে না। সরকার সুন্দরবন রক্ষায় যে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে। 

এর আগে সুন্দরবন সংলগ্ন পরিবেশগত সংকটাপন্ন ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তরল গ্যাস বোতলজাতকরণ প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রসঙ্গে জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায় দেন আদালত। 

রায়ে মংলা শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘসহ (টিএমএমএস) তিনটি প্রতিষ্ঠানের এলপিজি কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। অন্য দুই প্রতিষ্ঠান হলো বারাকা লিমিটেড ও ডেল্টা এলপিজি লিমিটেড।

টিএমএমএস ২০১৬ সালে এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে আবেদন করে। সরকারের অপরাপর প্রতিষ্ঠানের অনুমতি পেলেও পরিবেশগত ছাড়পত্র পাচ্ছিল না। পরে গত বছর পরিবেশগত ছাড়পত্র না পাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে টিএমএমএস। 

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

শুনানিতে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, টিএমএমএস একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে বোতলজাত এলপিজি কারখানা করতে চায়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিচ্ছে না।

অন্যদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এর বিরোধিতা করে বলেন, একজনকে দেয়া হয়েছে বলে কারখানা করার জন্য আরেক জনকে দিতে হবে বিষয়টি এমন হলে তো আর এভাবে সুন্দরবন থাকবে না।

আদালত বলেন, ডিসকিমিনেশন হচ্ছে না তো। সেখানে ১৫৪ টি বিভিন্ন রকমের ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। তাহলে অনুমতি দিলেন কেন? এরা তো সেখানে বিনিয়োগ করেছে। 

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখানে বসে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারবো না। আপনারার কমিটি করে দেন। সেখানে কতটি শিল্পকারখানা আছে, আর কতটি করা যাবে তা কমিটি দেখবে। তবে তাতে সাড়া দেননি আদালত।


   আরও সংবাদ