ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পাবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা


প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পাবে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা

আকাশ পথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন ২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে তার পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ৪০ টাকা পাবেন।

আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, সভায় মোট ছয়টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছ। এর মধ্যে আকাশ পথে পরিবহন আইন-২০১৯ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। বিমানের যাত্রীদের অধিকার সুরক্ষার জন্য এই আইনটি করা হচ্ছে। আগে এ নিয়ে কোনও আইন ছিল না। ফলে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিবার কম ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। যদি মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী আমাদের আইন থাকতো তাহলে যাত্রীর পরিবার ক্ষতিপূরণ পেতো কয়েক গুণ বেশি। একেকজন কমপক্ষে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা করে পেতো।

আইনটি বিমান কর্তৃপক্ষ ভঙ্গ করলে অর্থাৎ যাত্রী মারা গেলে, আঘাতপ্রাপ্ত হলে কিংবা লাগেজ হারিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মন্ট্রিল কনভেনশন ১৯৯৯ অনুযায়ী যাত্রী মারা গেলে এক লাখ ৪০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ব্যাগ হারিয়ে গেলে প্রতি কেজির জন্য ৭০ ডলার করে জরিমানা দিতে হবে।

আইন বাস্তবায়নের ফলে বিমানে ভাড়া বাড়বে কিনা— এ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, বিমান ভাড়া বাড়বে না। কারণ ক্ষপিূরণের এই টাকা বিমান কর্তৃপক্ষ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কাছ থেকে নেবে।

মন্ত্রিসভায় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা-২০১৯ এর খসড়ার অনুমোদন হয়েছে। সচিব বলেন, রফতানি পণ্যের ক্ষেত্রে চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী দ্বিতীয় খাত। ২০২৪ সাল নাগাদ আশা করছি ৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে সক্ষম হবো। এই টার্গেট নিয়ে কাজ করছি। এই নীতিমালার আওতায় শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়ন নীতিমালা পরিষদ নামে ৪১ সদস্যের একটি পরিষদ গঠন হবে। আর শিল্প সচিবের নেতৃত্বে চামড়া এ চামড়াজাত পণ্যের নীতিমালা বাস্তবায়ন পরিষদ থাকবে। এর সদস্য সংখ্যা ২০ জন।

এই নীতিমালার আলোকে ট্যানারি শিল্প মালিকদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। চামড়া শিল্পের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। পণ্য উৎপাদনে আন্তর্জাতিকমান বজায় রাখা সহজ হবে। দক্ষ ও কার্যকর সেক্টর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।


   আরও সংবাদ