ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

বোল্টনের লেখা বইটি প্রকাশ আটকে দিতে ব্যর্থ ট্রাম্প, আসছে ২৩ জুন


প্রকাশ: ২০ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


বোল্টনের লেখা বইটি প্রকাশ আটকে দিতে ব্যর্থ ট্রাম্প, আসছে ২৩ জুন

   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের লেখা একটি বইয়ের প্রকাশ আটকে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বইটি যাতে প্রকাশ না হয় সেজন্য তিনি আদালতকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন একজন বিচারক। তবে আদালত বইটির সমালোচনা করেছেন।  

বোল্টনের বই - ‘দ্য রুম হোয়্যার ইট হ্যাপেন্ড’ (যে ঘরে এসব ঘটেছে) প্রকাশ হতে যাচ্ছে ২৩ জুন। বলা হচ্ছে, এই বইয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মারাত্মক সব দাবি করেছেন বোল্টন। আমেরিকার বিচার বিভাগের যুক্তি ছিল বইটিতে যেসব বিষয় রয়েছে তা ছাপানোর আগে যথাযথভাবে যাচাই করে দেখা হয়নি।

বোল্টন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে ‘জুয়া খেলেছেন’ এবং ‘দেশকে ক্ষতির মুখে ফেলেছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক রয়েস ল্যামবার্থ। 

কিন্তু রায় দেওয়ার বেলায় তিনি বলেছেন, প্রকাশনাটিতে নিরাপত্তাজনিত যেসব উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ইঞ্জাংশনই যে তার যথাযথ প্রতিকার যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বোল্টনের দাবিগুলোর বেশিরভাগেরই ভিত্তি ব্যক্তিগত কথাবার্তা। ফলে সেগুলো যাচাই করা অসম্ভব। ট্রাম্প প্রশাসন এরইমধ্যে বোল্টনের সেসব দাবি নাকচ করে দিয়েছে। 

ট্রাম্প বলেছেন, বোল্টনের বই ‘মিথ্যা কাহিনী আর আষাঢ়ে গল্পে ভরা।

বইয়ে বোল্টন যেসব দাবি করেছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাতে জিততে পারেন তার জন্য চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট কৃষকদের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করতে চীনে সয়াবিন এবং গমের বিক্রি বাড়িয়ে দিয়েছেন।

ট্রাম্প সে সময় বলেন, শিনজিয়াং এলাকায় মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বন্দী শিবিরে আটকে রাখার চীনা ‘সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল’। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফৌজদারি তদন্তকাজে নাক গলাতে আগ্রহ দেখিয়েছেন ‘যেসব একনায়কদের তার পছন্দ, তাদের ট্রাম্প তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এরদোয়ানকে বলেছিলেন, তিনি নিজে এই তদন্তের দেখভাল করবেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানতেন না ব্রিটেন পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং একবার তার ঊর্ধ্বতন একজন সহযোগীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ফিনল্যান্ড রাশিয়ার অংশ কিনা।


   আরও সংবাদ