প্রকাশ: ২১ জুন, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মণিরামপুরের পল্লীতে বাল্যবিয়ের ঘটনায় দু’টি পক্ষের মধ্যে হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষ পাল্টা-পাল্টি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের হেলাঞ্চি গ্রামের আদম আলীর মাষ্টার্স পাশ ছেলে তরিকুল ইসলাম সম্প্রতি একই গ্রামের জিয়াজুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা রোকেয়া খাতুন (১৩) কে ঘরোয়া ভাবে বিয়ে করে।
অপ্রাপ্ত বয়সী স্কুল ছাত্রীর এই বিয়ে কোন প্রকার রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই গোপনে চুপিসারে হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা এই বিয়েকে অবৈধ বলে দাবি করে প্রতিবাদ করে আসছে।
এলাকায় এই বাল্য বিয়ে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। বিশেষ করে এই বিয়ের বর তরিকুলের ভাই আলমগীর, চাচাতো ভাই আনিচুর কোন মতেই মানতে নারাজ। ফলে সম্প্রতি তরিকুল ও মেয়ে পক্ষের লোকজনের সাথে তাদের বিরোধ চরমে পৌছায়।
গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় কন্যার পরিবারের লোকজন, জামাই তরিকুল এবং তার এক ভাইরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে অতর্কিত প্রতিবাদকারী আনিচুরের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় প্রাণের ভয়ে আনিচুর দৌড়ে পালিয়ে গেলেও হামলাকারীরা ফেলী বেগম, আলমগীর ও নওশেরসহ কয়েকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গত ১৯ জুন বিকেলে আপোস মিমাংসা করার উদ্দেশ্যে উভয়পক্ষকে ডেকে বসার চেষ্টা করলেও মেয়ে পক্ষের লোকজন এবং বর তরিকুল উপস্থিত হননি।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
গতকাল ২০ জুন বিকেলে মণিরামপুর থানার এস আই আক্তার হোসেন সরেজমিন তদন্তে আসেন। তিনি উভয় পক্ষকে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাল্য বিয়ের নায়ক তরিকুলের ভাই আলমগীর জানান, অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার এ বিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধ।
প্রতিবেশীরা বলেন, আমরা এ বিয়ে মানি না। আমরা ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিবো।