ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

সাবেক অর্থমন্ত্রীর শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ না করার আহ্বান টিআইবি’র


প্রকাশ: ২৫ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


সাবেক অর্থমন্ত্রীর শুল্কমুক্ত সুবিধা গ্রহণ না করার আহ্বান টিআইবি’র

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত-কে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক দেয়া শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

রোববার (২৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এনবিআর কর্তৃক শুল্ক-করাদি অব্যাহতির এ বিশেষ আদেশটি যৌক্তিক বিবেচিত হলেও সংসদ সদস্য না হয়ে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ একদিকে নৈতিক দিক থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্বচ্ছতা ও সুনাম-কে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অপরদিকে ভবিষ্যতে অন্যান্যদেরও এ ধরনের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করার ঝুঁকি তৈরি করবে। এবং সেক্ষেত্রে এটি একটি চর্চায় রূপান্তরিত হতে পারে। 

সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে এ সুবিধা গ্রহণ না করলেও বর্তমানে সংসদ সদস্য না হয়েও তা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং তাঁর সুনামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না মত দিয়ে এ সুবিধা গ্রহণ না করে নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এনবিআর কর্তৃক জারিকৃত এক বিশেষ আদেশে পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ সুযোগ গ্রহণ না করার যুক্তিতে ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিনি সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিগত সরকারের শেষ সময়ে এ অবেদন করেন বলে এনবিআর সূত্রে জানানো হয়।

ইতিপূর্বে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্বতপ্রণোদিত হয়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বিবরনী ও আয়কর তথ্য প্রকাশ, শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ না করা ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্রীয় পদে থেকে সুনাম অর্জন করেছেন। অবসর মেয়াদে উল্লিখিত বিশেষ সুবিধা গ্রহণ নৈতিকভাবে সাবেক অর্থমন্ত্রীর অর্জিত সুনামের সাথে মানানসই হবে না।

ড. জামান আরো বলেন, ‘‘শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি সংসদ সদস্যদের জন্য এমনিতেই একটি বিতর্কিত সুবিধা। তদুপরি গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার মত কোন পদে না থেকে এ সুবিধা গ্রহণের উদাহরণ স্থাপন করে ভবিষ্যতে এর অপব্যবহারের ঝুঁকি সৃষ্টিতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন থেকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বিরত থাকবেন বলে দেশবাসী তাঁর নিকট আশা করে বলে মনে করছি।


   আরও সংবাদ