প্রকাশ: ৯ জুন, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন
যশোর থেকে খান সাহেব : করোনার মধ্যে সম্পূর্ণ উল্টো চলেছে চৌগাছার সোনালী ব্যাংক। অর্ধেক জনবল দিয়ে কাজ করে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে ব্যাংকটির এ শাখা।
প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ভয়ে সারাদেশে যখন লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না। তখন চৌগাছার সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা কর্মচারীরা জীবনের ঝুকি নিয়ে গ্রাহকদের সেবা দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জাতির এ দুর্দিনে তাদের সেবা পেয়ে খুশি স্থানীয় গ্রাহকরা।
চৌগাছার সোনালী ব্যাংকে মোট জনবল থাকার কথা ৩২ জন কিন্তু এখানে আছে মাত্র ১৫ জন। এই পনের জনকে শাখা ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলামা দু’ভাগে ভাগ করে প্রতিদিনের ব্যাংকিং সেবা অব্যাহত রেখেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করছেন। আবার সময় শেষ হলেও কাজ শেষ না হলে সন্ধ্য পর্যন্ত সেবা দিচ্ছেন তারা। বিশেষ করে এ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম একাই সামনে থেকে লড়ে যাচ্ছেন বলে মত প্রকাশ করেছেন সেবা প্রাপ্তরা।
আজ বুধবার (১০ জুন) সরেজমিনে দেখা যায় শাখা ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলামের টেবিলের সামনে একাউন্ট খোলার বেশ কয়েকটি ফাইল পড়ে আছে। আর তিনি নিজে এসব ফাইলের কাজ করছেন। ফাইলের যে কাজ তিনি করছেন সেটা মূলত ওই ব্যাংকের কম্পিউটার অপারেটরের কাজ।
শাখা ব্যবস্থাপক হয়েও তিনি কেন এসব কাজ করছেন জানতে চাইলে বলেন, আমার এ শাখায় প্রয়োজনের তুলনায় লোকজন অনেক কম। কম সংখ্যক লোকবলকে আমি দু’ ভাগ করে কাজ চালাচ্ছি। কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়। তাহলে কাজ যেন বিঘ্নিত না হয় সে জন্য এ ব্যবস্থা করা।
‘আমি চাই সেবা নিতে এসে যেন কেউ হতাশ না হয়ে যায়। সরকারি অফিসের বিষয়ে সবার ধারনা আমি পাল্টে দিতে চাই। আমার সাথে আমার সহকর্মীরাও কমিটেড। তারা সবাই সময় মতো অফিসে এসে কাজ করছেন। মানুষের সেবা দিতে পেরে আমি খুশি বলেন আতিকুল ইসলাম’।
আন্দার কোটা গ্রাম থেকে বয়স্কভাতা নিতে আসা আনসারুদ্দিন মোল্লা ও শহরের বাসিন্দা নাজমা বেগম বলেন ‘ম্যানেজার বাবা অনেক ভালো মানুষ। আমরা বিভিন্ন সময় মোবাইলে কথা বলে বিরক্ত করি একবারও খারাপ ব্যবহার করেন না। খোদা তালা উনাকে বাঁচায়ে রাখুক’।
‘মানুষের সেবা দেয়ায় আমার কাজ। কেউ যেন আমার ব্যবহারে অখুশি না হয়। আমি সেটাই চাই। মানুষের ভালোবাসার মাঝেই আমি থাকতে চাই, বললেন শাখা ব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম