প্রকাশ: ২২ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বলেন, আমরা দুর্নীতি দমন কমিশন (দদুক)'কে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কারো গাফলতি কিংবা স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দদুক)’র চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে সকল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক, সকল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের সচিব, মহাপরিচালক ও পরিচালকদের নিয়ে অভিযোগের অনুসন্ধান ও তদন্তে আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এক জরুরি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নীচে নামিয়ে দেওয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোন কোয়ারি দেওয়া যাবে না।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোন প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব , শৈথিল্য যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে- কর্মকর্তাদের এমন কোন আচরণ কমিশন ন্যূনতম সহ্য করবে না। প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন , যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোন প্রকার অনুকম্পা পাবেন না।
তিনি বলেন, আমি বার বার আপনাদেরকে সতর্ক করি তারপরও যখন অভিযোগ আসে তখন ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না। অনুসন্ধানের টাইম লাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা । কারণ এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে। তিনি সকল কর্মকর্তাদের মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণে আহ্বান জানিয়ে বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেকের রূড় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সতর্ক হোন।
তিনি বলেন, কমিশনার তদন্ত অসংখ্য মামলার নথি পর্যালোচনা করে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি উদঘাটন করেছেন তা দ্রুত সংশোধন করুন।
