প্রকাশ: ১৪ মে, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
কূটনৈতিক প্রতিবেদক : কানাডায় অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কানাডা সরকারের প্রতি অনুরোধ জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
গতকাল সন্ধ্যায় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীফ্রান্সেস-ফিলিপ চ্যাম্পের সাথে ফোনে আলাপকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুরোধ করেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুনি নুর চৌধুরীর দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে পারলে তা হবে এদেশের জনগণের জন্য বড় প্রাপ্তী।
এসময় কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দেন। এ জোট বিশ্বব্যাপী করোনার চ্যালেঞ্জ মোকবিলায় সহায়ক হবে বলে কানাডা পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তাছাড়া যেকোন সংকটে কানাডা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে এ সময় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ফ্রান্সেস-ফিলিপ চ্যাম্পে।
বাংলাদেশে অবস্থানরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসনের বিষয়টি “সকলের দায়িত্ব” (যৌথ দায়বদ্ধতা) উল্লেখ করে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে কানাডার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করেন। তিনি এ বিষয়ে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের সাথে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানান। এসময় ফ্রান্সেস-ফিলিপ চ্যাম্পে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছেন তার প্রশংসা করেন।
ড. মোমেন কানাডায় অবস্থারত বাংলাদেশি ছাত্রদের বর্তমান পরিস্থিতিতে টিউশন ফি মওকুফসহ সব ধরনের সহযোগিতার অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি করোনা পরিস্থিতির কারণে চাকুরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি শ্রমিকদের পুনর্বাসনে কানাডার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের দুস্থদের খাদ্য সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কানাডার সহায়তা চান।
বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রয়াদেশ বাতিল হওয়ায় দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গার্মেন্টস সেক্টর সমস্যাসংকুল উল্লেখ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস খাতের বড় আমদানিকারক দেশ কানাডার সহায়তা কামনা করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, এ খাতে কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষ শ্রমিক কর্মজীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে; যাদের অধিকাংশ মহিলা।
বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে বিপুল সংখ্যক সম্ভাবনাময়ী ও মেধাবী তরুন পেশাজীবী নিয়োজিত রয়েছে উল্লেখ করে খাতে কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আহবান জানান ড. মোমেন। তাছাড়া দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে কানাডাকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। কৃষির উন্নয়নে কানাডাকে বাংলাদেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করার আহবান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ বিষয়টি কানাডা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে বলে জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কৃষিক্ষেত্রে কানাডা একটি সমৃদ্ধ দেশ।
এসময় চার্টার বিমানের মাধ্যমে কানাডার নাগরিকদেরে দেশে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।