প্রকাশ: ১ মে, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাকিবকে জড়িয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর দায়ে মামুন হোসেন রুবেল (২০) ও শাহপরান আলম খান রাব্বি (২৫) নামের দুই বখাটে যুবককে যৌথ অভিযানে আটক করেছে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও পুলিশের সাইবার টিম।
শুক্রবার (১ মে) দুপুরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের মিডিয়া এন্ড পিআর এআইজি সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এআইজি সোহেল রানা জানান, গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) ভোররাত ৪টা ০৭ মিনিটে Jarine Afrine Ruma নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট দিয়ে বলা হয়। ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন ‘ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাকিব।
পোস্টটি দৃস্টিতে আসার সাথে সাথেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিম। কিন্তু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে Jarine Afrine Ruma নামের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তড়িঘড়ি করে নিজের দোষ স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হয়।
সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়, করোনা ভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের চমলান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং গুজব রটানোর উদ্দেশে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্ররোচনায় তিনি প্রথম পোস্টটি করেছিলেন। ওসির বিরুদ্ধে তিনি পূর্বে যে পোস্ট দিয়েছেন, আসলে তেমন কোনো ঘটনা-ই ঘটেনি। যে তরুণীর ধর্ষিত হওয়ার কথা তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি তাকে চিনেন না বা ওই নামে আদৌ কেউ রয়েছেন বলে তার জানা নেই।
উল্লিখিত স্থানীয় ওই ব্যক্তির প্ররোচনায় ইন্টারনেট থেকে তিনি অচেনা একটি মেয়ের ছবি ডাউনলোড করে পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন। গুজব রটানোর কারণে তিনি লজ্জিত উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
উল্লখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য কিংবা গুজব ছড়ানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া, এর মাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে সামাজিকভাবে বিতর্কিত করে তাঁঁর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুনাম নষ্ট করা হয়েছে।
করোনাকালে গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে জনগণের জন্য পুলিশের সেবাধর্মী কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করারও প্রয়াস এটি। যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক অভিযোগের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে কখনো কার্পণ্য করেনি বাংলাদেশ পুলিশ এবং ভবিষ্যতেও করবে না বলে জানান হয়।
পাশাপাশি, গুজব রটিয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও জনস্বার্থ বিরোধী যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের কঠোর আইনী অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
ইতোমধ্যেই Jarine Afrine Ruma নামের অ্যাকাউন্টটির প্রকৃত ব্যবহারকারীসহ দু'জনকে আটক করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।