ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জীবাণুনাশক দিয়ে সুস্থ, ঠাট্টা করেই বলেছে ট্রাম্প


প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


জীবাণুনাশক দিয়ে সুস্থ, ঠাট্টা করেই বলেছে ট্রাম্প

   

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে জীবাণুনাশক দিয়ে সুস্থ করে তোলা সম্ভব কি না তা নিয়ে গবেষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের হটলাইন নম্বরে জীবাণুনাশক বিষয়ে জানতে চেয়ে কল আসার পরিমাণ বেড়ে যায়। 

এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ‘ধারণা করতে পারছেন না’ কেনো হঠাৎ এ ধরনের কল আসার পরিমাণ বেড়েছে।

বিবিসি জানায়, হটলাইনে ফোন করে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান বেড়ে যাওয়ার পেছনে ট্রাম্পকে দায়ী করেছেন মিশিগান এবং ম্যারিল্যান্ডের গভর্নররা।

তাছাড়া এমন পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকদের সমালোচনারও শিকার হয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে ঠাট্টা করে এ মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।

জীবাণুনাশক বিপদজনক দ্রব্য এবং এটি পাকস্থলিতে গেলে বিষক্রিয়া হতে পারে। এতে এমনকি মানুষের মৃত্যু হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সরকারের দৈনিক ব্রিফিংয়ে একজন প্রতিবেদক জানান, ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর এ বিষয়ে জানতে চেয়ে হাজারও কল আসছে ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের জরুরি হটলাইন নম্বরে।

জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি ধারণা করতে পারছি না এটি কেনো হচ্ছে।’ এ ধরনের অনুসন্ধানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার দায়িত্ব তিনি নেবেন কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘না, আমি নেবো না।’

গত সপ্তাহে ম্যারিল্যান্ডের গভর্নরের দপ্তর থেকে অঙ্গরাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে যেন কেউ জীবাণুনাশক দ্রব্য পান বা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে গ্রহণ না করেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দৈনিক ব্রিফিংয়ে এক কর্মকর্তা ব্লিচের মাধ্যমে মিনিটেই করোনা ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় এমন গবেষণার কথা বলার পরই জীবাণুনাশক ইনজেকশনের ওই মন্তব্যটি করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘জীবাণুনাশক তো এক মিনিটেই ভাইরাসটি মেরে ফেলতে পারে। এক মিনিট। আমরা কি কোনোভাবে এমন কিছু করতে পারি না? ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে দিয়ে বা প্রায় পরিষ্কার করে? এটি পরীক্ষা করে দেখা চমৎকার ব্যাপার হবে।’

অথচ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ট্রাম্প বলেন, ‘কী হয় দেখার জন্য আমি এ প্রশ্নটি প্রতিবেদকদের সঙ্গে ঠাট্টা করেই করেছি।’ 

এদিকে সোমবারের ওই ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের ব্যাপারে আমি কখনো চিন্তাই করিনি। আমি কেনো এটি করবো?’

এর আগে আসন্ন নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, নির্বাচন কোনোভাবে পেছানোর চেষ্টা করতে পারেন ট্রাম্প।

তবে সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্প চাইলেও নির্বাচন পেছানো সম্ভব না কেননা তারিখটি নির্ধারণ করেছে কংগ্রেস।

অন্যদিকে আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, দুই শতকের ভিয়েতনাম যুদ্ধে যতো মার্কিন সেনা মারা গেছেন, তার চেয়ে বেশি মার্কিন নাগরিক শুধু গত ছয় সপ্তাহে মারা গেছেন। এমন একজন প্রেসিডেন্টকে কি আবার নির্বাচিত করা উচিত হবে?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন ‘অবিশ্বাস্য’ কাজ করেছে।


   আরও সংবাদ