প্রকাশ: ১৭ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
কালিগঞ্জ সাতক্ষীরা থেকে শিমুল : কালিগঞ্জ হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীরা যথাযথ সেবা থেকে বঞ্চিত। দেখবে কে এমন প্রশ্ন রোগীসহ স্বজন ও এলাকার মানুষের। ঈদ উল আযহার আগে ও পরে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়।
রোগীরা হলেন, রিয়াজুল ইসলাম(৩১), মৌতলা শিমু রেজা কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র মোখলেছুর রহমান(১৯), হাসানুর রহমান (২২), মনিরুল ইসলাম গাজী (৩৫), সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র সুমন কুমার ঘোষ, আনোয়ারা খাতুন (৩৮), লাভলু গাজী (১৯) ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র আকিবুল হক (১৬)।
কালিগঞ্জ হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্ণারে রোগীর বেডের স্বল্পতা, ডাক্তারের অভাব, জরুরী বিভাগে ডাক্তার না থাকা, নার্স দিয়ে কোন রকমে জরুরী বিভাগ চালিয়ে নেওয়া, ওয়ার্ড বয় দিয়ে জরুরী বিভাগে সার্জারী করানো, জেনারেল বেডে ডেঙ্গু এবং সাধারণ রোগীদের একসাথে রাখা। ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট পরীক্ষায় অনিয়ম সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রথম শ্রেণীর নার্স দাবীদার পুতুল রানী হাওলাদার ও রেহানা পারভীন রোগীদের জ্বর ও বিপি পরীক্ষা করলেও হদিস মেলেনী কোন চিকিৎসকের। এদিকে হাসপাতারের জরুরী বিভাগে মারাত্মক যখমী রোগী থাকলেও দেখা যায়নি ডাক্তারের। উপায়ন্তর না পেয়ে হাসপাতালের মালী আব্দুল হান্নান উপজেলার গোয়ালপোতা গ্রামের আবু তালেব মোড়লের পুত্র শাহাজামানকে মাথায় সেলাই দিতে হয়েছে। তালাবদ্ধ ছিলো কর্মকর্তা সহ রাঘোব বোয়াল বড় বাবুর রুমে।
এদিকে ডেঙ্গু রোগীদের মঙ্গলের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অবহেলা, ডাক্তারের অভাব এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা না থাকার কারণে অনেক রোগী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের খোঁজ খবর নেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কথা স্বীকার করতে নারাজ কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়েবুর রহমান। তিনি সহ অন্যান্য চিকিৎসকবৃন্দ ডেঙ্গু রোগীসহ সব রোগীদের যথাযথ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী করেন।
