ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

ধান কাটা-মাড়া ২০০ কোটি টাকা, বীজ-চারা ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ


প্রকাশ: ১২ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


ধান কাটা-মাড়া ২০০ কোটি টাকা, বীজ-চারা ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের আর্থিক ঘাত মোকাবিলায় কৃষি খাতে নিয়োজিতদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুবিধার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সুবিধার আওতায় আগের বছরের চেয়ে বেশি ধান-চাল কিনবে সরকার। এছাড়া ধান কাটা ও মাড়াই ছাড়াও বীজ-চারার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেবে সরকার। আসছে বাজেটে সারের জন্য ভর্তুকিও বাড়ানো হবে।

রোববার (১২ এপ্রিল) বরিশাল ও খুলনা জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ে সংযুক্ত হয়ে সূচনা বক্তব্যে এসব সহায়তার ঘোষণা দেন।

মতবিনিময়ের আগে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কৃষিপ্রধান দেশ। কয়েকদিনের মধ্যে বোরো ধান উঠবে। কৃষক যেন ধানের ন্যায্য দাম পায়, সে জন্য এ বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের চেয়ে আরও বেশি ধান-চাল কিনবে। এ বছর মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান-চাল কেনা হবে।

প্রধানমন্ত্রী ধান কাটা ও মাড়াইয়ে বিশেষ বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে কিছুদিনের মধ্যেই। আমরা দেখেছি, অন্যান্য বছর ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় না। তবে এবার যেহেতু করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তারা এখন ধান টাকা ও মাড়াইয়ে কাজ করতে পারবেন। তারা কাজ করতে চাইলে সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর এই কাজের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়কে আমরা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। আরও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেবো। অর্থাৎ ধান কাটা ও মাড়াইয়ে মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

কৃষকদের জন্য আরও সহায়তার ঘোষণা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বীজ ও চারার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। এছাড়া আমাদের আগামী বাজেটে ৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সারের জন্য। অর্থাৎ সারের জন্য এই টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে।

এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রী ‍কৃষি খাতে যুক্ত সবার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এই তহবিল থেকে কৃষকদের ঋণ দেবে। সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ হার সুদে কৃষকরা এই ঋণ নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসের কারণে যেন তাদের কাউকে বসে থাকতে না হয়, সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।


   আরও সংবাদ