প্রকাশ: ৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
মণিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা : মণিরামপুরে সরকারি কাবিখা’র ৫৫৫ বস্তা চাল চাতাল মালিকের গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে বেশ তোড়পাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানান গুঞ্জন ও সমালোচনা।
পুলিশ সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় রাইচমিল মালিককে আটক এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্টো-ট-১৬-০০২৭) ট্রাকটি জব্দ করেছেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহৗী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী’র নেতৃত্বে থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য মণিরামপুর পৌর এলকার বিজয়রামপুর ভাই ভাই রাইস মিলের নিজস্ব গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫৫৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম, থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গতকাল শনিবার রাতে রাইচমিল তথা ধানের চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আটক করা হয় এবং ট্রাকভর্তি চাল থানা হেফাজতে নেন পুলিশ। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে বলে থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত ৫৫৫ বস্তা চাল শনিবার বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ট্রাক ভর্তি করে পাচার করছিলেন মামুন। এ খবর জানতে পেরে চাতালের সামনে থেকেই পুলিশ ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেন।
রাইচমিলের মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের দেয়া ভাষ্য মতে জানা যায়, আটককৃত কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) চাল খাদ্য গুদাম থেকে তিনি কিনেছেন। তার সাথে আরও তিনজন পার্টনার রয়েছে। সেই অনুযায়ী খাদ্য গুদাম থেকে ক্রয়কৃত চাল আমার গুদামে নিয়ে গুদামজাত করছিলাম। এই সাথে আরও কারা জড়িত সেটা জানা সম্ভব হয়নি।
মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্না এ বিষয়ে মিডিয়ার কাছে এই মুহুর্তে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী সাংবাদিকদের জানান, এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ক্রান্তি লগ্নে মণিরামপুর খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি কাবিখার ৫৫৫বস্তা চাল পাচারের ঘটনায় সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং বিভিন্ন মহলে বেশ তোড়পাড়রে সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানান সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে নানান নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অনেকেরই মন্তব্য মূল দোষী ব্যক্তিদের আটক করে বিচারের আওতায় না এনে ডাল-পালা আটক করা হয়েছে। ওই সব মন্তব্যকারীদের উক্তি থেকে অনেকটা স্পষ্ট যে কয়েকজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি এই চাল পাচারের সাথে জড়িত।