ঢাকা, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩২, ২২ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

২০৮০ সালের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে ২২৫ কোটি মানুষ


প্রকাশ: ৪ অগাস্ট, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


২০৮০ সালের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে ২২৫ কোটি মানুষ

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে এ বছর ডেঙ্গু জ্বর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ডেঙ্গু জ্বরের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে একটি নতুন গবেষণায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ২০৮০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বের ২২৫ কোটি মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে। নেচার মাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দক্ষিণ-পূর্ব আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের উপকূলীয় অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে ডেঙ্গুর উল্লেখযোগ্য প্রসারের সম্ভাবনা পাওয়া গেছে।

ব্রাজিল এবং ভারতের মতো উষ্ণ জলবায়ু রয়েছে বিশ্বের এমন অঞ্চলে বর্তমানে এ রোগটি বিস্তার পেয়েছে।

ডেঙ্গু জ্বর রোগটি প্রথম ১৯৫২ সালে আফ্রিকাতে দেখা যায়। পরবর্তীতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এবং ইন্দোনেশিয়াতে এটি বিস্তার লাভ করে। বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম এডিসবাহিত ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।

বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ডেঙ্গুতে ১০ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো যথেষ্ট তীব্র, যার মধ্যে জ্বর, হাড়ের জোড়ায় ব্যথা এবং অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে এই রোগকে ‘ব্রেক বোন ফিবার’ বলা হয়ে থাকে।

ডেঙ্গুতে বিশ্বে প্রতিবছর আনুমানিক ১০ হাজার রোগী মারা যায়। এডিস মশা ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রামিত করে থাকে। এই জাতের মশা জিকা এবং চিকুনগুনিয়াও ছড়ায়।

লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের সহ-লেখক অলিভার ব্র্যাডি বলেছেন, আগামী কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি লোক ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে পড়বেন।

বিশ্বব্যাপী সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে যে ২০৮০ সালে ২২৫ কোটিরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। যে অঞ্চলগুলোতে এই রোগের বিস্তার হচ্ছে সেখানে জনসংখ্যাও বাড়ছে প্রচণ্ড গতিতে।

গবেষক ড. ব্র্যাডি এবং তার সহকর্মীরা মশার আচরণ এবং নগরায়নের বিষয়ে গবেষণা করে ধারণা করছেন, এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়িয়ে দেয় বিশেষত শহরগুলোতে। আর ২০৮০ বিশ্বে নগরায়ন হবে ৮০ শতাংশ অঞ্চলে। এর ফলে আরো উষ্ণতা বাড়বে।

২০০০ সালের প্রথম থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ১০০ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বিশ্বের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বাড়তে পারে। আর এর ফলে নতুন নতুন অঞ্চলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে। এডিস মশার বিস্তারও বেশি পাবে কারণ এডিস মশা উষ্ণ অঞ্চল পছন্দ করে।

তবে উষ্ণতা কমাতে পারলেই এই রোগের বিস্তার কমে যাবে, দাবি গবেষকদের।


   আরও সংবাদ