প্রকাশ: ৩ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশে নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬১। দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যোগ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মোট ৬১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন।
মিডিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ভালো কাজ করছেন। আপনাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারছি। দেশের আনাচে কানাচে কীভাবে চিকিৎসা হচ্ছে। কীভাবে মানুষ ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনেক রকমের ভুয়া নিউজ দেওয়া হচ্ছে। এতে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হচ্ছে।
আমরা মনে করি, যারা এই কাজটি করছেন তারা ঠিক করছেন না। এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আমাদের কাজ ব্যাহত করছেন। এই বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারি না। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। আপনাদের কাছে আহ্বান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন, এই নির্দেশনা গুলো মেনে চলবেন এবং পজিটিভ নিউজ করবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা ৫১৩ নমুনার মধ্যে আইইডিসিআর ১২৬টি পরীক্ষা করেছে। এছাড়া বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো ৩৮৭টি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছে। এদের মধ্যে ৫ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পাঁচজনের মধ্যে আইইডিসিআরের দুইজন বাকি তিনজন অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে শনাক্ত হয়েছে। যেহেতু নতুন ল্যাবে ৩ জন শনাক্ত হয়েছে সেহেতু আমরা কিছু যাচাই-বাছাই করবো। আমাদের কাছে চিকিৎসাধীন আছেন ২৯ জন। এদের ২২ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাকি সাতজন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছে ৮২ জন।
মহাপরিচালক বলেন, ৭১ হাজার টেস্টিং কিট এখনো মজুদ আছে। প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবেই ২ হাজার ৫০০ মানুষ মারা যায়। করোনার কারণে আমাদের মৃত্যু ৩ হাজার বা ৪ হাজারে বৃদ্ধি পায়নি।
অনলাইন ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।