ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

গাজীপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে পুড়ে গেল শিশুর শরীর


প্রকাশ: ১ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


গাজীপুরে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে পুড়ে গেল শিশুর শরীর

গাজীপুর থেকে এম রানা : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি জরুন পেয়ারা বাগান এলাকায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে পুড়ে গেল এক স্কুল ছাত্রীর শরীর। ফরিদা স্থানীয় সিটি আইডিয়াল স্কুলের ১ম শ্রেণিতে পড়ে।

বুধবার দুপুরে ফরিদা আক্তার (৭) নামে এক শিশু বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে পুরো শরীর পুড়ে গেছে। ওই শিশুর বাবা ফারুক হোসেন দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকায় আমির উদ্দিন খন্দকারের বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।

এলাকাবাসি জানায়, ওই শিশু দুপুরের দিকে নিজ ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির একটি নিমার্ণাধীন দ্বিতীয় তলায় বাবা ফারুক হোসেনের সঙ্গে উপরে উঠেন।

এসয়ম ওই ভবনের ছুই ৩৩ কেবি তারের পাশে একটি কাঁচের খেলনা মারবল পড়ে যায়। ফরিদা তার পড়ে যাওয়া খেলনা মারবলটি তুলে আনতে গেলে বিদ্যুতের তাঁর পিঠে ঠেকে শিশু ফরিদা আক্তারের শরীরে জড়িয়ে যায়। শরীরে থাকা কাপড়ে আগুন ধরে পুড়ে যায়।

ওই সময় শিশুর বাবা ফারুক হোসেন একটু দুরে দাড়িয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতেছিল। এ দৃশ্যটি দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করেন। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বিদ্যুতের তাঁরে ঝুলে থাকা শিশু ফরিদাকে শুকনো একটি বাঁশ দিয়ে একাধিকবার আঘাত করে ছাড়িয়ে আনে।

শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্বজনেরা উদ্ধার করে শরীরে পানি ঢালেন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসারপর গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান শিশুটির অবউন্নতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুর বাবা ফারুক জানান, আমার মেয়ের শরীরের পিঠ পুড়ে গেছে। এতে ফরিদার জীবন সংকটাপ্ন হয়ে পড়েছে। তবে পুড়ে যাওয়া শিশু চিকিৎসা ব্যয় বাড়ির মালিক বহন করছে।

বাড়ির মালিক আমির উদ্দিন খন্দকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার নিমার্ণাধীন বিল্ডিং ঘেষে তার পরিবর্তনের জন্য আবেদন করা হয়েছে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ কোনাবাড়ি শাখায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা তাঁর না সরানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। আহত শিশুর সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করবো।

গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কোনাবাড়ি শাখার ডিজিএম বাদল মিয়া জানান, ওই বাড়িওয়ালা অনিয়ম ভাবেই খাস জমিতে ভবন নির্মাণ করছে। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে তাঁর সরানোর আবেদন করে নাই। তবে বাড়ির বিল্ডিং সরকারি খাস জমিতে করায় তারা আমাদেরকে কোনো রকম দরখাস্ত করেনি। 

ডিজিএম আরো বলেন, ভবনটি সরকারি নিয়ম না মেনেই করছে। বিষয়টি থানায় একটি পেয়ার দেয়া হবে যাতে মামলা হয়।


   আরও সংবাদ